উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ০৮ ই আগষ্ট ২০২২ : সোমবার : সংবাদ মাধ্যমের খবরের জের। মন্ত্রী পদের শপথ গ্রহণ করার পরেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে পা দিতেই তজমুল হোসেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার থানা পাড়ার বাসিন্দা কিডনি রোগগ্রস্ত মুসাহার পরিবারের ছয় বছরের শিশু অভির কাছে তার প্রতিনিধি পাঠালেন। দরিদ্র পরিবারের এই শিশুর সমস্ত রকম চিকিৎসার দায়ভার নিলেন মন্ত্রী তজমুল। পাশে দাঁড়ালো তৃণমূল নেতারা। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ প্রশাসনও। কাগজে লিখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হল মন্ত্রীর পক্ষ থেকে। ছেলেকে এবার সুস্থ করতে পারবে বলে আশায় বুক বেঁধেছে পরিবার। এদিকে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়ে সদ্য এলাকায় ফেরেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী তজমুল হোসেন। তারপরেই করা হয় এই ছোট্ট শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা। তিনি কাগজে লিখে কলকাতার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেই কাগজ নিয়ে সেদিন ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান, যুব তৃণমূল সভাপতি জিয়াউর রহমান, হরিশ্চন্দ্রপুর চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তা সহ অন্যান্যরা। আর্থিক ভাবেও সাহায্য করা হয় ওই পরিবারকে। সঙ্গে চিকিৎসার জন্য সমস্ত রকম ভাবে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ওই দিকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হয়েছে। আর্থিক ভাবে সাহায্য করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমের। ফলে আশ্বস্ত হয়েছে অভির পরিবার। এবার ছেলের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাবে তারা। কলকাতার পিজি হাসপাতালে করা হচ্ছে চিকিৎসার ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পাড়ার বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিক হিন্দোল ঋষির ছেলে ছয় বছরের গাছ থেকে পড়ে তার ডান কিডনি বিকল হয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য পয়সা জোগাড় করতে পারছিলেন না এই দরিদ্র পরিবার। তাই ছেলের মৃত্যুর জন্য দিন গুনছিলেন এই পরিবার। সংবাদ মাধ্যমের খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে এলাকার মন্ত্রী তজমুল হোসেন। তারপরে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন, আমরা আজ এসে দেখা করে গেলাম। আর্থিক ভাবে সাহায্য করলাম। মন্ত্রী লিখে দেওয়া কাগজ দিয়ে গেলাম। সব রকম ভাবে চিকিৎসার জন্য পাশে আছি। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর কথাও তিনি উল্লেখ করেন। অভির ঠাকুমা সীমা ঋষি বলেন, আজ এলাকার মন্ত্রী প্রতিনিধি ও তৃণমূল নেতারা এসেছিল। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা থেকেও সাহায্য করা হয়েছে। আমাদের খুব ভাল লাগছে। আমাদের পাশে সকলে দাঁড়িয়েছে। আশা করছি আমাদের ছেলে সুস্থ হয়ে যাবে। কোলকাতা নিয়ে যাব।