উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৪ ই আগষ্ট ২০২২ : রবিবার : উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ও সর্ববৃহৎ শৈব তীর্থ জল্পেশ মন্দিরে শ্রাবণ মাসের শ্রাবণী মেলায় রেকর্ড ভিড় হয়। এবছরও শ্রাবণ মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় রবিবার রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হলেও পুণ্যার্থীদের দেখা নেই তৃতীয় ও চতুর্থ রবিবার। ফলে দূর দূরান্ত থেকে আশা ব্যবসায়ীরা দোকান গোটাতে ব্যস্ত চতুর্থ রবিবারে। মোটা অংকের টাকা লোকসানের দাবি ব্যবসায়ীদের।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় রবিবার শ্রাবণী মেলায় আসার সময় ১০ জন পূর্ণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হওয়ায় হাইকোর্টে মামলা করেন জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দা। সেই মামলার রায়দান করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে তিনি রায়দান করেন যে মন্দিরে প্রবেশের মূল গেট অপ্রসস্ত থাকায় গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। কৃত্রিম পদ্ধতিতে চ্যানেলের মাধ্যমে ঢালতে হবে জল। সেই জল পৌঁছাবে গর্ভগৃহে। এই নির্দেশের পরেই তৃতীয় রবিবার শ্রাবণী মেলায় ভিড় অনেকটাই কমে গিয়েছে। এদিকে শেষ রবিবারেও পুণ্যার্থীদের দেখা নেই বললেই জানা যায়। এই বিষয়ে এক পুণ্যার্থী কার্তিক নাগ বলেন, মন্দিরে পূজো দিতে এসে দেখি মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষেধ। ফলে অনেকেই নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। আমাদেরকেও বাধ্য হয়ে এই চ্যানেলের মধ্য দিয়ে জল ঢালতে হোলো। শেষ রবিবারে ভিড় নেই বললে চলে। মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষেধ, সেই কারণেই মন্দিরে পুণ্যার্থী নেই বলে মনে হয়। ফলে বাধ্য হয়ে দোকান গুটিয়ে ফেলছে ব্যবসায়ীরা। আগামী সোমবার স্বাধীনতা দিবস। সেই কারনেও অনেক পূর্ণ্যার্থী মন্দিরে আসছে না বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় ব্যবসা গোটাতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা।
জল্পেশ শ্রাবণী মেলায় সব থেকে ভালো ব্যবসা হয় তৃতীয় ও চতুর্থ রবিবারে। তবে এবছর হাইকোর্টের নির্দেশ এবং স্বাধীনতা দিবসের টানাপোড়নে মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের। অন্যদিকে পূর্ত দপ্তরের রাস্তায় ব্যবসা করতে এসে মোটা অংকের টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে। যে পরিমাণ টাকা তাদের কাছ থেকে দাবি করা হয়েছিল তার বিন্দুমাত্র উপার্জন করতে পারেননি বলেও অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মেলার এক ব্যবসায়ী বিজয় সরকার বলেন, শেষ রবিবারে পুণ্যার্থীদের দেখা একেবারেই নেই। একদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ এবং অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবসের জন্য মন্দির প্রায় ফাঁকা। এবছর খুব খারাপ ব্যবসা হয়েছে। একই ধরনের কথা বলেন বাকি ব্যবসায়ীরাও।