উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৪ ই আগষ্ট ২০২২ : রবিবার : স্কুল গন্ডি পেরিয়ে আজ সকলেই নিজেদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত। প্রায় সকলের সন্তানরা আজ বিদ্যালয়ের আঙিনায় প্রবেশ করেছে। কিন্তু যখন আবারও ফিরে আশা যায় সেই ফেলে আশা স্কুল জীবনের আঙিনায় মুহূর্তের মধ্যেই নস্টালজিক হয়ে ওঠে সকলেরই হৃদয়। হ্যাঁ সালটা ১৯৮১। সেই সময়ের নব্য একঝাঁক যুবকের দল জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার আঙিনায়। আর সেই যুবকের দলই আজ জীবনের মধ্য গগনের আঙিনায় পৌঁছে পুনরায় ফিরে এলেন ৪১ বছর আগের সেই বিদ্যালয়ের আঙিনায়। রবিবার সকালে আদর্শ বিদ্যাভবনের ১৯৮১ সালের সেই যুবকের দল পুনরায় দীর্ঘদিনের ব্যবচ্ছেদ মিটিয়ে সকলে মিলে পুনরায় মিলিত হলেন একসাথে। রবিবার ঘড়ির কাঁটায় দশটা বাজতেই একে একে এসে উপস্থিত হলেন ১৯৮১ সনের মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া প্রাক্তনীদের দল। আজ কেউ সরকারি অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আবার কেউ কেউ ব্যাবসায়ী। কিন্তু জীবনের মধ্য গগনে এসেও আজও তারা নবীন সেই যুবকের দল। বিদ্যালয়ে পৌঁছেই তাই নস্টালজিক হয়ে উঠলেন সকলে। ফেলে আসা সেই পুরোনো স্মৃতি মনের মনি কোঠায় ভেসে উঠতে থাকলো সকলে। স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়েই সকলেই আবেগ তাড়িত হয়ে পড়লেন সকলে।
আজকের এই পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলন সেই সময়ের বিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা শহরের প্রবীণ ব্যক্তিত্ব প্রেমৎপল সেনাপতি, প্রাক্তন শিক্ষক অরুন কুমার ধর, পঙ্কজ কুমার বোস, আনন্দ চক্রবর্তী প্রমুখ। এদিন বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উৎপল পাল বলেন, “স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ সাথে আমাদের ডুয়ার্সের প্রাচীন বিদ্যালয়েরও ৭৫ তম বর্ষ। আর সেই উপলক্ষে বিদ্যালয়ে একাধিক অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। স্বাধীনতার প্রাক্কালে আজকের এই পুনর্মিলন উৎসব বাড়তি উদ্দীপনার সঞ্চার করলো। বিদ্যালয়ের বহু প্রাক্তনী আজ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যা আমাদের কাছে গর্বের। আজ এই প্রাক্তনীদের কাছে পেয়ে আমরা অভিভূত “। অপরদিকে আজ উপস্থিত প্রাক্তনীদের হাতে বিদ্যালয়ের তরফে সম্মান প্রদান করা হয়। অপরদিকে প্রাক্তনীদের তরফেও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ও বর্তমান শিক্ষকদের হাতে সম্মান জ্ঞাপন করা হয়।