উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১০ ই নভেম্বর ২০২২ : বৃহস্পতিবার : আগামী ৯ জানুয়ারী থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে শিশুদের হাম-রুবেলার (এমআর) বিশেষ টিকাকরণ কর্মসূচী। এরই অঙ্গ হিসেবে বর্তমানে জলপাইগুড়ি জেলায় শুরু হয়েছে প্রতিটি স্কুলের একজন করে নোডাল শিক্ষককে নিয়ে সচেতনতা শিবিরের কাজ। বুধবার স্কুল শিক্ষকদের নিয়ে এরকমই একটি শিবিরি অনুষ্ঠিত হলো সুলকাপাড়া গ্রামীন হাসপাতালে। সেখানে ওই টিকাকরণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুপর্ণ হালদার। তিনি বলেন, এটা এমআর এর টিকাকরণের বিশেষ অভিযান। নাগরাকাটা ব্লকে ৫২ হাজার শিশুকে এই টীকা দেওয়ার লক্ষ্য হাতে নেওয়া হয়েছে। স্কুল পড়ুয়াদের টীকাকরণের সময় শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্কুল পিছু একজন করে নোডাল শিক্ষকদের এদিনের শিবিরে ডাকা হয়েছিল।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে রুটিন টিকাকরণের আওতাতেও এমআর রয়েছে। বিভিন্ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র বা সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে শিশুর ৯ মাস থেকে ১ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম ডোজ ও ১৬ মাস থেকে ২৪ মাস বয়সের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়। এবার ওই টিকাকরণে একটি বিশেষ অভিযান হাতে নেওয়া হয়েছে তাতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সমস্ত শিশু-কিশোরদের টিকা দেওয়া হবে। বাদ যাবে না যাযাবর কিংবা পরিযায়ী পরিবারের শিশুরাও। তবে শিশুরা রুটিন টিকাকরণ কর্মসূচীর মাধ্যমে যে যেমন ভাবে টিকা পাচ্ছে সেটা অব্যাহত থাকবে। স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন আগে শুধু হামের টিকা দেওয়া হতো। বছর তিনেক আগে হাম ( মিজেলস) ও রুবেলার ( জার্মান মিজেলস) মিলিত টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। সেটাই এমআর নামে পরিচিত। দুটি রোগই শিশুদের জন্য বিপদ্দজনক হতে পারে। আরও বেশি সুরক্ষা প্রদানের জন্যই রুটিন টিকাকরণের বাইরেও বিশেষ টিকাকরণের অভিযান শুরুর কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে।