উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৪ ই নভেম্বর ২০২২ : সোমবার : ১৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক শিশু দিবস তথা শিশু অধিকার সপ্তাহের প্রথম দিন। আর এই বিশেষ দিনটিতে শিশুদের অধিকার শিশুদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মাল ব্লকের রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও চাইল্ড ইন নিড ইনস্টিটিউট (সিনি’র) যৌথ উদ্যোগে চালু হলো চাইল্ড রাইটস সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার (সি.আর.এস.ডি.সি.)। রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে অবস্থিত শিশু সহায়তা কেন্দ্রেই এখন থেকে পাওয়া যাবে শিশুদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা। শিশুদের অধিকার সংক্রান্ত নানান সরকারি সুবিধাগুলো শিশুদের কাছে খুব সহজেই পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই সেন্টারটি খোলা হয়েছে বলেই অভিমত কর্তৃপক্ষের। এখানে যেমন শিশু অধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যও পাওয়া যাবে তেমনি বিভিন্ন সময়ে একাধিক বিষয়ে ক্যাম্প করে শিশুদের রক্ষার্থে বিভিন্ন সরকারি সুবিধগুলি সরাসরি শিশুদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে। সোমবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী আধিকারিক দীপঙ্কর সাহা, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত ডেভলপমেন্ট অফিসার আনাস সদা, মাল ব্লক শিশু প্রকল্প আধিকারিক সায়ক দাস, মাল সাব ডিভিশন মাল থানার এসআই সঞ্জয় ঘোষ, মেডিকেল অফিসার গোপাল বিশ্বাস, সিনি’র তরফে উত্তরবঙ্গ ইউনিটের কো অর্ডিনেটর রতন লামা, বর্ণালী দাশগুপ্ত সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। সোমবার সেন্টারটি উদ্বোধনের পর উপস্থিত সকল শিশুদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সাথে শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে কাউন্সেলিংও করা হয়। একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দিয়ে তাকে ‘মানবিক স্কীম’ এর জন্য আবেদন পত্র করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত মাল ব্লকের শিশু প্রকল্প আধিকারিক সায়ক দাস বলেন, শিশুদের রক্ষার্থে রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সিনি’র যৌথ উদ্যোগে এই সেন্টারটি উদ্বোধন করা হোলো। এখান থেকেই শিশু সংক্রান্ত যাবতীয় সহযোগিতা পাবেন অভিভাবকরা। সপ্তাহের প্রত্যেকদিন এই কেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্য, সুরক্ষা সহ একাধিক বিষয়ে পরিষেবা প্রদান করা হবে। মালের পঞ্চায়েত ডেভেলপমেন্ট অফিসার আনাস সাদা বলেন, চা-বাগান সহ গ্রামাঞ্চলের শিশুদের রক্ষার্থে ও তাদের মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে এই সেন্টার কাজ করবে। এই সেন্টার থেকেই যাবতীয় সরকারি পরিষেবা পাবে শিশুরা। অপরদিকে আন্তর্জাতিক শিশু দিবসে শহরের বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত একটি শপিংমলে (কসমো বাজার) এদিন চল্লিশ জন শিশুদের নিয়ে বসে আঁকো অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে অঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে ওই শপিংমল (কসমো বাজার) কর্তৃপক্ষের তরফে।