উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৩ শে নভেম্বর ২০২২ : বুধবার : সোমবার মাল পৌরসভায় তৃণমূল এর দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি পর্বের পর মঙ্গলবার আবার আর্থিক অসচ্ছতা নিয়ে তৃনমুল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হলো। পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছে। এতেই মালবাজার শহরের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
সোমবার মাল পৌরসভার চত্বরে হাতাহাতি পর্ব চলে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। এক কাউন্সিলর সহ তিন মহিলা জখম হয়। দু পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার করেছে।পুলিশ ইতিমধ্যে মামলা শুরু করেছে। সোমবারের সেই পর্বের পর মঙ্গলবার বিকাল ৩ টা নাগাদ শহরের ২ ওয়ার্ড ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পুলিন গোলদার ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজয় লোহারের নেতৃত্বে এক মিছিল সংগঠিত হয়। সেই মিছিল থানায় এসে মাল পৌরসভার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরকারি পর্যায়ে তদন্তের দাবী জানিয়ে এক স্মারক লিপি আইসি সুজিত লামার হাতে তুলে দেন।
স্মারক লিপি দেওয়ার পর পুলিন গোলদার বলেন, মাল পৌরসভার পক্ষ থেকে দোকান ঘর বন্টন, হাউসিং ফর অল প্রকল্পের ঘর বন্টন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে জমি প্রদান নিয়ে আর্থিক সচ্ছতা থাকেনি। আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দোকান প্রাপকের সঙ্গে যে ডিড হয়েছে তার থেকে বেশি অর্থ নেওয়া হয়েছে। হাউসিং ফর অল প্রকল্পে অনেকের ব্যাংকের একাউন্টে ৩.৪৩ লাখের বেশি টাকা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক ব্যাক্তি একাধিক ঘর পেয়েছে। জেলা পরিষদের জমি বিক্রি হয়েছে। এসব জানতে চেয়ে আমরা নিগ্রীহিত হয়েছি। আমাদের মারধোর করা হয়েছে। অজয় লোহারের মা’কে মারা হয়েছে। তার বুকের হাড় ভেঙেছে। দলকে জানিয়ে কাজ হয়নি তাই প্রশাসনিক স্তরে তদন্তের দাবী জানিয়েছি। কাজ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
এনিয়ে মাল পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা পরিস্কার জানান, কোন আর্থিক অনিয়ম নেই। এর আগে একাধিক বার সব তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর্থিক অনিয়ম রোধে কমিটি হয়েছে সেই কমিটির মধ্যে পুলিন গোলদার আছেন। উনি সমস্ত জানেন, তারপরও অভিযোগ তুলেছেন। পুলিন গোলদারের সচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। উনি নিজের পরিবারের সদস্যদের নামে তিনটি ঘর নিয়ে ঘর করেনি। টাকা তুলে নিয়েছেন। অজয় লোহার ৮টি বাইরের মানুষের নামে ঘর নিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারদের বিল পাশ করানোর জন্য চাপ দিয়েছেন। এগুলো কি সচ্ছতার নিদর্শন ? আমরা সরকারি ভাবে সব জবাব দেব। প্রয়োজন হলে আইনের দ্বারস্থ হব। মানুষ সব জানতে পারবে।