উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২২ শে নভেম্বর ২০২২ : মঙ্গলবার : সোমবার বিকালে মাল পৌরসভার চত্বরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী বাদানুবাদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। জখম হন এক কাউন্সিলর। তার বিরুদ্ধে এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। যদিও জখম কাউন্সিলর সমস্ত ঘটনার জন্য অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন মাল টাউন তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি অমিত দে’র দিকে। সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান মাল পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা। ঘটনার জেরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রকাশ্য এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালবাজার শহরে।
সোমবার সকাল থেকে মাল পৌরসভার চত্বর ছিল যথেষ্ট সরগরম। জানা গেছে, গত শনিবার শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজয় লোহার কিছু তথ্য জানতে চেয়ে পৌরসভায় চিঠি দেন। সেই নিয়ে সোমবার সকাল থেকে মাল পৌরসভার চত্বর সরগরম ছিল। সেই পরিবেশে বেলা গড়াতে পৌরসভায় আসেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলিন গোলদার। এরপর বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। শুরু হয় হাতাহাতি। তুমুল বাক্ বিতন্ডার মাঝে পুলিন গোলদারকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। এনিয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলিনবাবু জানান, আমাকে ডাকা হয়েছিল। আমি একাই পৌরসভায় আসি। আচমকাই আমার উপর কিছু লোক হামলা করে। আমার মুখে আঘাত লেগেছে। আমি ডাক্তার দেখাব। দলকে জানাব। দল যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে? জানতে চাওয়া হলে পুলিনবাবু জানান, সব অমিত দে’র লোকজন করেছে। অমিত দে ইচ্ছে মতো লোকজন নিয়ে কমিটি করেছে। গতকাল কাউন্সিলর অজয় লোহার কিছু তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। সেই নিয়েই আমার আসা তারপরই এই ঘটনা ঘটে।
এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন কমিটির সভাপতি অমিত দে বলেন, আমি ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করি। দীর্ঘ রাজনৈতিক কারো গায়ে হাত তুলিনি। এ সব ওনারাই করে। কখনো বিজেপি যায় আবার অন্য দলে যায়।মাঝেমধ্যে পৌরসভায় ঝামেলা করে। আজ ওনারা কিছু লোককে ড্রিংকস করিয়ে আনে। এতেই ঝামেলা হয়। ওনারা বলতে পুলিন গোলদারকে ঈঙ্গিত করছেন এই প্রশ্ন করা হলে অমিতবাবু বলেন, আমি কারো না করতে চাইনা। এটা সবাই জানে। এটা একটা ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে সেই কাউন্সিলরের ঝামেলা। সেই নিয়ে ঝামেলা হয়। এনিয়ে মাল পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা বলেন, এটা অনভিপ্রেত ঘটনা। এক মহিলাকে মারধোর করা হয়েছে। তাতে ঝামেলা হয়। তবে পরিস্থিতি শান্ত। সবাইকে বাড়ি যেতে বলেছি এনিয়ে সব দিক খতিয়ে দেখা হবে।