উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৯ শে নভেম্বর ২০২২ : শনিবার : রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার কি রামমোহন রায়? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ? এখন ময়নাগুড়িতে প্রবল আলোচনার চর্চা হয়ে উঠেছে ময়নাগুড়ি র ভিলেজ পুলিশ রামমোহন রায়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষ্ক্রিয় করে দেবার বিষয় নিয়ে। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই তৎকালীন জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত ভিলেজ পুলিশ রামমোহন রায় কে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এরপরেই এই কারণ নিয়ে প্রবল আলোচনা শুরু হয়েছে ময়নাগুড়ি জুড়ে। রামমোহন রায়কে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বর্তমান পুলিশ সুপার। এটি ডিপার্টমেন্টাল বিষয় বলে জানিয়েছেন তিনি। রামমোহন রায়কে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার পিছনে একটি রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে ধারণা ময়নাগুড়িবাসীদের একাংশের।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েতি ভোটের আগে যেখানে রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের মুখ দেখাতে ব্যস্ত সেখানে দুর্গা পূজোর পর থেকে একের পর এক বিভিন্ন ক্লাবের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে রামমোহন রায় কে। ক্লাবের অনুষ্ঠান হোক বা দূর্গা পুজোর ও কালীপুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সর্বত্রই রাজনৈতিক নেতাদের পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন রামমোহন রায়। সেখানে স্থানীয়দের ধারণা সেই বিষয়টি কেউ ভালো ভাবে নিতে পারেনি। আর তা নিয়ে সম্ভবত উপমহলে তার নামে অভিযোগ জানানো হয়েছে। রামমোহন রায় ময়নাগুড়িতে সমাজসেবক হিসেবেও পরিচিত। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে তিনি বহু কাজ করেছেন। সাপে কাটা রোগীকে নিজের কোলে নিয়ে বাইকে করে হাসপাতালে নিয়ে আসা। কারো রক্তের প্রয়োজন হলে ছুটে যাওয়া। কেউ বিপদে পড়লে তার পাশে সারা রাত্রি দাঁড়িয়ে থাকা। সেই সাথে ডাকাতির ছকও বানচাল করে দিয়েছিলেন। তাকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার বিষয়টি ময়নাগুড়ি বাসীদের তাজ্জব করে দিয়েছে।
রামমোহন রায় বলেন, মিথ্যে দুর্নাম দিয়ে আমাকে খারাপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি মানুষের পাশে ছিলাম থাকবো। কতিপয় কিছু ব্যক্তি সম্ভবত এই অভিযোগ করেছে। আমি বিভিন্ন জায়গায় আমন্ত্রণ পাচ্ছি সেটাই হয়তো ভালো ভাবে তারা নিতে পারেনি। জয় হিন্দ বাহিনীর জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাবনপাল বলেন, চাকরি পাওয়ার আগে রামমোহন রায় ময়নাগুড়ি কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। নানা লড়াইয়ে দেখা গিয়েছে তাকে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে। সে সত্যিই ময়নাগুড়িতে একটি ভালো মুখ হয়ে উঠছিল। কি কারনে তাকে নিষ্ক্রিয় করা হলো সেটাই বুঝতে পারছি না। কে অভিযোগ করেছে সেটাও জানি না। চাকরি পাওয়ার আগে সে দলের হয়েও প্রচুর কাজ করেছে। এখনও প্রচুর মানুষের সমস্যায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ময়নাগুড়ি দুই নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলেন, রামমোহন রায় প্রশাসনিক ভাবে ভালো কাজ করেন। যে কারণে তাকে বিভিন্ন ক্লাবে ডাকা হচ্ছে, ফিতা কাটানো হচ্ছে তাকে দিয়ে। সেটাই হয়তো কারো আক্রোশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার কারণেই সম্ভবত তাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
