উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ৩১ শে মার্চ ২০২৩ : শুক্রবার : দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ময়নাগুড়ি পুরাতন বাজারে তৈরি হয়ে রয়েছে জেলা পরিষদের মার্কেট কমপ্লেক্স। দুবার চেষ্টা করা হলেও এখন পর্যন্ত মার্কেট কমপ্লেক্সের স্টলগুলি বিলি বা বন্টন করতে পারেনি জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের ১৪ টি স্টল দ্রুত বিলি বা বন্টন করার দাবি উঠতে শুরু করেছে। অপরদিকে অভিযোগ উঠেছে, জেলা পরিষদ এই স্টলগুলি নির্মাণ করলেও তৈরি করেনি কোন শৌচালয়। যদিও জেলা পরিষদ দ্রুত এই স্টলগুলি বিলিবা বন্টন করা হবে বলে জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে ময়নাগুড়ি পুরাতন বাজারে ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে জেলা পরিষদ একটি মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করেছিল। যেখানে ১৪ টি স্টল রয়েছে। নীল সাদা রং করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও জেলা পরিষদ এই স্টলগুলি বিলি বা বন্টন করতে পারছে না। আর তা নিয়ে ক্ষোভে সরব হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ উঠেছে, একসময় এই স্টলগুলি বিলি বা বন্টন করার ব্যবস্থা নিয়েছিল জেলা পরিষদ। কিন্তু সেই বিষয় নিয়ে ময়নাগুড়ির বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা কিছুই জানতেন না বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে অন্য পদ্ধতিতে এই স্টলগুলি বিলি বা বন্টন করার চেষ্টা করে জেলা পরিষদ। কিন্তু তখনো স্টল বিলি বা বন্টন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং বন্ধ হয়ে যায় স্টল বন্টন। পুরাতন বাজারের স্টলগুলি বিলি বা বন্টন করার জন্য এক টেন্ডার প্রক্রিয়ার ডাক দিয়ে ছিল জেলা পরিষদ। কিন্তু তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন বেশ কিছু জন প্রতিনিধি সহ সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা। এরপরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে স্টলগুলি বিলি বা বন্টন করা হবে বলে জেলা পরিষদ জানিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্টলগুলি বিলি বা বন্টন করা হচ্ছে না।
পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সম্পাদক সমিত সাহা জানান, যে পদ্ধতিতে এর আগে এই স্টলগুলি বিলি বা বন্টন করা হচ্ছিল তা সঠিক প্রক্রিয়া ছিল না। জিএসটি নম্বর নিয়ে ডিসিআর কাটতে বলা হয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন রকম নিয়ম লাঘু করা হয়েছিল। আমাদের দাবি এখানে যে স্টল করা হয়েছে সেখানে যেন বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারে। সে কারণেই আমরা সোচ্চার হয়েছিলাম। এরপরে বলা হয়েছিল লটারির মাধ্যমে স্টলগুলি বিলি বা বন্টন করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা করা হচ্ছে না। প্রচুর ব্যবসায়ী ফুটপাতে ব্যবসা করে। অনেকের ঘরের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা চাইছি দ্রুত স্টলগুলি বিলি বা বন্টন করা হোক। স্থানীয় ব্যবসায়ী সত্যব্রত সাহা বলেন, স্টলগুলি একদিকে বিলি বা বন্টন করা হচ্ছে না। অপরদিকে এগুলি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে কোন শৌচালয় নেই। বাজারে প্রচুর মহিলা ব্যবসায়ী রয়েছে। আমাদের এলাকায় জেলা পরিষদ জানিয়েছিল শৌচালয় তৈরি করবে। কিন্তু তারা সেটা করেনি।
এই বিষয় নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ কে ফোন করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে এড়িয়ে যান। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কৃষি সেচ কর্মাধ্যক্ষ গোবিন্দ রায় বলেন, যারা ডিসিআর কেটেছিল সে গুলো ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া স্টলগুলি যেন দ্রুত বিলি করা হয় তা প্রসেসের মধ্যে রয়েছে। লটারির মাধ্যমে এগুলি বিলি বা বণ্টন করা হবে।