25.2 C
New York
Thursday, June 19, 2025

Buy now

spot_img

ভাঙ্গন রোধে কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব গ্রামবাসীরা।

উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ৯ ই এপ্রিল ২০২৩ : রবিবার : ভাঙ্গন রোধে কাজে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব গ্রামবাসীরা। সরকারি টাকা কাজের নামে লুট চলছে বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। মালদার মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর শঙ্করটোলা এলাকায় নদী পাড়ে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন রোধের কাজ।

উল্লেখ্য গত ২০১৯  সালের অক্টোবর মাসে মথুরাপুর অঞ্চলের অন্তর্গত শংকরটোলা এলাকায় ফুলহর নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন হয়, যেখানে তলিয়ে যায় মূল বাঁধের একটা বড় অংশ সহ একটি বড় শিব মন্দির এবং কয়েকটি বড় বড় গাছ ও বাড়ি। আপদকালীন অবস্থায় রাজ্য সেচ দপ্তরের তরফ থেকে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন রোধের কাজও করা হয়েছিল। তারপরে ফুলহর নদী দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। বেশ কয়েকবার ভাঙ্গন রোধের কাজ করলেও বালির বস্তা দিয়ে স্থায়ী সমাধান হয়নি এখনো। বর্তমানে রাজ্য সেচ দপ্তরের তরফ থেকে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ অর্থে ভাঙ্গা বাঁধের মেরামতি এবং নদীর কাজ শুরু হয়েছে। আর এই কাজে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে এলাকার মানুষজন।

স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘ সময় পর ফুলহার নদীর ভাঙ্গা বাঁধের অংশ জোড়া লাগানোর কাজে নামে সেচ দপ্তর। বালির বস্তা ফেলে বাধের এক প্রান্তর সঙ্গে আরেক প্রান্তকে জুড়ে দিতে বর্তমানে কালো বস্তা দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। আর এই কাজেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নদীর পার সঠিকভাবে বাধা হচ্ছে না। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করে, অর্ধেক বস্তায় মাটি দিয়ে কোন রকমে কাজ চালাচ্ছে। এরকম কাজে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। আর কয়েক মাস পর বর্ষা আসলে যে ভাবে নদীর জল বাড়বে তাতে আবার হতে পারে ভাঙ্গন। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মথুরাপুরবাসী। মানিকচক ব্লকের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত মথুরাপুর। মথুরাপুরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ফুলহর নদী। বন্যায় মথুরাপুর অঞ্চল প্লাবিত হলে প্রায় মানিকচক এর সমস্ত জায়গায় জল ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে স্থায়ী সমাধানের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের দাবি অবিলম্বে এই এলাকায় স্থায়ীভাবে ভাঙ্গনরোধে কাজ করতে হবে প্রশাসনকে। দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষের সুর চালিয়েছে বিজেপি ও বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।

অন্যদিকে এই ঘটনায় মানিকচক বিধানসভার বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র জানিয়েছে, কোন রকম নিম্নমানের কাজ করা যাবে না। ঠিকাদার সংস্থা যদি নিম্নমানের কাজ করে সঠিক ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। কেন্দ্র সরকার ভাঙ্গন রোধের জন্য কোন কাজ করছে না, রাজ্য সরকার এই বাঁধ নির্মাণ এবং নদীর পাড় বাঁধার জন্য সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কাজ যাতে সঠিকভাবে হয় তা প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

22,878FansLike
3,912FollowersFollow
14,700SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক খবর

error: Content is protected !!