উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ৯ ই এপ্রিল ২০২৩ : রবিবার : গঙ্গায় মাছ ধরলেই দিতে হবে তোলা। যেখানে রাজ্য সরকার নির্দেশ গঙ্গায় মাছ ধরতে গেলে কোন রকম তোলা দিতে হবে না। সরকার ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশ কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মৎস্য সমবায়ের সমিতির নামে জলকর মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এই জলকর দিতে অস্বীকার করলে মৎস্যজীবীদের অসভ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে অসাধু ব্যবসায়ীদের নামে। এই বিষয়ে মৎস্যজীবীরা জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন ব্লক প্রশাসনকে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছে। মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছে জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া ও মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিষয়টি জানানো হলে তারা নির্দেশ দিয়েছে গঙ্গায় মাছ ধরতে গেলে জলকর লাগে না এই বিষয়ে এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হয়েছে, তারপরেও মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্যরা অন্যায় ভাবে জল কর মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে আদায় করছে। যদিও মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্যরা জানাচ্ছেন সরকারি নির্দেশে সম্পূর্ণ ভাবে বৈধভাবে গঙ্গা থেকে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে জল কর আদায় নেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনায় বিরোধীরা শাসক দলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। এখন প্রশ্ন জলকর তোলার বিষয়ের দায়ী কার, কে সত্য। মৎস্যজীবীদের অভিযোগ জলকরের নাম করে বাজারে কুড়ি শতাংশ তোলা দিতে হচ্ছে মৎস্য সমবায় সমিতিকে। মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্যরা জানাচ্ছে ২০২০ সালে জেলার ডিএলআরও দপ্তর থেকে জলকর এর বিষয়ে টেন্ডার শুরু হয় সেই টেন্ডারের তারা অংশগ্রহণ করে এবং দপ্তর ২০২০ সাল থেকে টানা ৭ বছর জল কর বিষয়ে অনুমতি পায়। এর জন্য প্রতিবছর খাজনা হিসেবে সরকারকে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৯৯ টাকা খাজনা দিতে হয়। তারপরেও সরকার জলকর এর বিষয়ে কেন বেআইনি বলছে। এই বিষয়ে সরকার যদি কোন হা না করে তাহলে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যাবো। এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, গঙ্গা নদী থেকে জলকর মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে নেওয়া যাবে না। গঙ্গায় কোন জলকর লাগে না। মৎস্য সমবায় সমিতি থেকে এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ জানায়নি তবুও এই বিষয়ে মন্ত্রী ডিএলআরও দপ্তরের এ ডি এম কে এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখার বিষয় জানাবে।