উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৪ ই এপ্রিল ২০২৩ : শুক্রবার : এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে না, মানুষ জবাব চাইছেন, এই অভিযোগে মাল পৌরসভার বোর্ড মিটিংয়ে এলেন না ভাইস চেয়ারম্যান সহ বেশ কিছু কাউন্সিলর। বাতিল হলো বোর্ড মিটিং। এই ঘটনায় মালবাজার শহরের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়ালো।
ডুয়ার্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মহকুমা শহর মালবাজার। ৩৩ বছরের পুরানো মাল পৌরসভায় মোট সদস্য ১৫ জন। গত ১৩ এপ্রিল পৌরসভার বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ এই সভায় চেয়ারম্যান স্বপন সাহা সহ ৫ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। বাকিদের অনুপোস্থিতিতে কোরাম হয়নি, ভেস্তে যায় সভা। শহরে উপস্থিত থেকেও সভায় যাননি ভাইস চেয়ারম্যান উৎপল ভাদুড়ি। এনিয়ে জানতে চাওয়া হলে শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলিন গোলদার সরাসরি চেয়ারম্যান স্বপন সাহার দিকে আঙুল তুলে বলেন, “আমরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জন প্রতিনিধি। পৌরসভার নিয়মিত বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিত থাকি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বোর্ড মিটিংয়ে যে সিদ্ধান্ত হয় সেটা সঠিক ভাবে কার্যকর হয় না। চেয়ারম্যান একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করেন। যা বরাদ্দ আসে তা সঠিক ভাবে সব কাউন্সিলরদের মধ্যে বন্টন না করে উনি একাই সিংহভাগ বরাদ্দ নিয়ে কাজ করেন। যার ফলে আমরা কাজ করতে পারি না। জনগণ প্রশ্ন করলে জবাব দিতে পারি না। জনগণ চাচ্ছে না আমরা বোর্ড মিটিংয়ে যাই। এজন্য যাইনি। এনিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান উৎপল ভাদুড়ি বলেন, কাজ যে একেবারে না হচ্ছে তা বলব না। কাজ হচ্ছে কিন্তু অসম্পুর্ণ থাকছে। আমাদের এলাকায় রাস্তা, পানীয়জল সহ অন্যান্য সমস্যা রয়েছে। মানুষ জানতে চাইলে জবাব দিতে পারছি না। এজন্য একপ্রকার অনিহা থেকেই আজ মিটিংয়ে যাইনি। পরবর্তী মিটিংয়ে যাব কি না তা পরে বলব।
এনিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা বলেন, বাস্তবে একজন কাউন্সিলরের বাবা মারা গেছেন। একজন জলের সমস্যা নিয়ে পিএইচই দপ্তরে গেছেন। কয়েকজন ব্যাক্তিগত সমস্যার জন্য আসতে পারেন নি। এজন্য কোরাম হয়নি। আগামী ১৮ এপ্রিল আবার সভা ডাকা হয়েছে। তবে যে বলছেন কাজ হচ্ছে না তার ওয়ার্ডে গত বছর ৭ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। ৭০% আবাসন প্রকল্পের ঘর হয়েছে। প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য লাইন করা হয়েছে। তবে পানীয় জলের সমস্যা হয়েছে তা সমাধান করার সব রকম চেষ্টা হচ্ছে। এনিয়ে তৃনমুল কংগ্রেসের মাল টাউন কমিটির সভাপতি অমিত দে বলেন, কয়েক জন ব্যাক্তিগত সমস্যার জন্য আসতে পারেনি। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটাবো। এই ভাবে বোর্ড মিটিং ভেস্তে যাওয়াতে অনেকে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ বলে মন্তব্য করেছেন।