উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২১ শে এপ্রিল ২০২৩ : শুক্রবার : অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে পুনরায় ঘর নির্মাণ করার জন্য ঘর নির্মাণের যাবতীয় সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করেন ময়নাগুড়ির বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা ভিলেজ পুলিশ রামমোহন রায়। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সরিফুল ইসলামের থাকার ঘর। ঘর হারিয়ে খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই তাদের কাছে ত্রিপল সহ অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭/০৪/২০২৩ তারিখে রাত আনুমানিক দশটা নাগাদ ময়নাগুড়ির উত্তর ভূস্কাডাঙ্গার জল্পেশ মেলার মাঠ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দার সরিফুল ইসলামের থাকার একটি মাত্র ঘর আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। সেই ঘরে থাকা তার যাবতীয় নথিপত্র সহ জমির দলিল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার ঘটনার খবর পেয়ে ময়নাগুড়ির অগ্নিনির্বাপকের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। যদিও নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই ঘরে থাকা যাবতীয় সরঞ্জাম সহ বিভিন্ন নথিপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বাড়ির মালিক সরিফুল ইসলাম বলেন, জল্পেশ হিমঘরের অ্যামোনিয়া গ্যাস নির্গমনের আমার স্ত্রী খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাকে চিকিৎসার জন্য জলপাইগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। পরিবারের সুরক্ষার জন্য আমরা প্রত্যেকেই গৃহহীন অবস্থায় অন্যস্থানে আশ্রয় নিই। আমি রাতে করে সেই বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বাড়ির থেকে ৮০০ মিটার দূর থেকে দেখি বাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আগুন দেখতে পেয়ে সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে যায়। এরপর গ্রামের মানুষরা ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরের দিন হাসপাতাল থেকে ফিরে বাড়িতে আসলে দেখতে পায় বাড়ির যাবতীয় সরঞ্জাম এবং নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাড়ির গৃহপালিত পশু। এরপর ময়নাগুড়ি থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর পরে ময়নাগুড়ি পুলিশ প্রশাসন এবং ময়নাগুড়ির সমাজসেবী রামমোহন রায় বিশেষভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা পুলিশ কর্মী রামমোহন রায় বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পরিবারের পাশে প্রথম দিন থেকে রয়েছে এবং পরবর্তীকালেও সেই পরিবারের পাশে থাকবেন।