উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৬ ই মে ২০২৩ : শনিবার : মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা বড়া-র অনশন কর্মসূচি আজ দ্বিতীয় দিনে পড়লো।
শুক্রবার থেকে মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা বড়া-র তরফে করে চলা অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রইল শনিবারও। এদিন সকাল থেকে দফায় দফায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতারা এসে বোঝানোর পরও অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন নি রিনা। এদিন সকালে ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তথা পৌরসভার দুই নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলিন গোলদার, পৌরসভার উপ পৌর প্রধান উৎপল ভাদুড়ী সহ একাধিক কাউন্সিলর মালবাজার থানার সামনে চলা অনশন মঞ্চে এসে রিনাকে অনশন তুলে নেবার অনুরোধ করেন এবং দলীয় স্তরে বিষয়টি আলোচনা করবার প্রতিশ্রুতিও দেন। এদিনের সেই আলোচনার মাল পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অগাস্টুস কেরকেট্টা, তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মিনারা পারভিন সহ তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতাকর্মী অনশন মঞ্চে এসে রিনার সাথে দেখা করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। তিনি তবুও এদিন অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যান। মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়লে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এসে তাকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। চিকিৎসকদের তরফে তাকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সেই পরামর্শ উপেক্ষা করে অনশনরতই থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে অনশনরত অবস্থায় রিনা বলেন, গতকাল মালবাজার শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ তিনি আমার অনশন মঞ্চে এসে দেখা করেন নি। এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীও দেখা করেননি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি।
তবে রীনার এই অনশনরত থাকার সিদ্ধান্তে পুলিশ প্রশাসন সহ সকলেই বেশ চিন্তিত। তৃণমূল কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ বিবাদ কার্যত এখন রাস্তায় এসে নেমেছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। প্রসঙ্গত এদিন চা বাগান ট্রেড ইউনিয়নের নেতা পুলিন গোলদার বলেন, আমরা সকলে রিনার পাশেই আছি। তবে অনশন কর্মসূচি তুলে নেওয়াটাই কাম্য। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হোক। অপরদিকে যুবরাজ শাহী বলেন, অনশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যে ঘটনা ঘটেছে তা যথেষ্টই নিন্দনীয় কিন্তু দলের অভ্যন্তরে বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।