উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৭ ই মে ২০২৩ : রবিবার : অমিত শাহ বলছে ৩৫ লোকসভার আসন। তৃণমূল বলছে ২৪০ বিধানসভার আসন। মাঝ খান থেকে মানুষের অধিকারের কেন্দ্রবিন্দু গ্রামসভা কোথায় গেলো? ওঁরা মন্ত্রী হতে চায়। আমরা মানুষের কথা বলছি। কেন্দ্র ও রাজ্য দুই শাসক দলই পঞ্চায়েত ভোট করাতে চায় না। মানুষ কিন্তু জোট বাঁধছে। চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। চ্যালেঞ্জ নাও। দ্রুত পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা দাও। রবিবার নাগরাকাটার আদিবাসী সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রে সিপিএমের নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক একটি কর্মীসভায় এসে ঘাসফুল ও পদ্ম দুই শিবিরকে একই সুরে বিঁধে একথা বলেন সিপিএম এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বহুদিন পর এদিনের সভায় কর্মী সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড় দেখে দৃশ্যতই উচ্ছসিত এক সময়ের লাল দূর্গ নাগরাকাটার সিপিএম নের্তৃত্ব।
চা বাগানের শ্রমিকদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে সেলিম তৃণমূল ও বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাঁর কথায় মালিকপক্ষ জানে কেন্দ্র ও রাজ্যে তাঁদেরই সরকার। চা বাগান এখন এখন শিল্পপতিদের নয়, ব্যাবসায়ীদের দখলে। এক শ্রেণীর ফঁড়েরা মালিক হচ্ছে। শ্রমিকদের অধিকার মিলছে না। সম্পদ হস্তান্তর হচ্ছে। চা বাগানের জমি পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা পাকা করে ফেলা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো এখানেই এসে তামাশা করে গেলেন। মালিকরাও মিটিং করেছেন। তারপরই দেবপাড়া বন্ধ হলো কেন? দ্রুত ওই বাগান খুলতে হবে। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির আওতায় আনতে হবে। লোক দেখানো বারবার অন্তর্বর্তীকালীন মজুরি বৃদ্ধিতে কারো সায় নেই। ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন চলছে ও চলবে।
গরু পাচার কান্ড নিয়েও সেলিম তৃণমূল ও বিজেপিকে একই পংক্তিতে বসিয়েছেন। তাঁর সংযোজন, আমরা আগেই বলেছি এই ধরনের আন্তর্জাতিক পাচার কেন্দ্রের ও রাজ্যের শাসক দলের উঁচু পর্যায়ের লোকজন যুক্ত না থাকলে সম্ভব নয়। বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের একটা অংশের যোগসাজশ না থাকলে টিএমসি ও বিজেপি গরু পাচার করতে পারতো না। ডিএ মামলার সুনানীতে কোর্টে বারবার তারিখ বদল নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম বলেছেন, যখন খেলা হবে বলা হয়েছিলো তখন তো শুভেন্দুও খেলোয়াড় ছিল। ওঁনার ডিএনএ তেও তৃণমূল।
পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষন ঘোষনা না হওয়ার পেছনেও তৃণমূল ও বিজেপির বোঝাপড়া দেখতে পারছেন সেলিম। তিনি জানান, ভোট পিছিয়ে দেওয়ার জন্য মমতার কথায় শুভেন্দু অধিকারী কোর্টে গিয়েছিল। কল্কে না পেয়ে এখন দু পক্ষই জাতিগত ইস্যুতে গোলমাল বাঁধানোর অপচেষ্টায় রত। যাতে যে করেই হোক ভোট পেছায়। আর তৃণমূল তো কোন ভোটই চায় না। স্কুল, ভোট দুই বন্ধ। কলেজের ছাত্র সংসদের ভোট বন্ধ। সমবায়ের ভোট বন্ধ। যে ভোট করে সেখানে লুঠ চলে। এমনকি নিজদের নকল ভোটেও লুঠের ছড়াছড়ি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনজোয়ার যাত্রা যেখান দিয়েই যাচ্ছে তারপরই সেখান থেকে মানুষ লাল ঝান্ডার তলায় আসছেন বলে সেলিমের দাবি।