উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৮ ই মে ২০২৩ : সোমবার : রিনা বড়ার ইস্যুতে জলপাইগুড়ির জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জরুরী বৈঠক ডাকা হলো। সোমবার জলপাইগুড়িতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। রিনার অভিযোগ কে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে দল।
মাল গ্রামীণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুশীল প্রসাদের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলে মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা বড়া কিছুদিন আগেই মাল থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মালবাজার ও ডামডিম এলাকায়। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুশীল কুমার প্রসাদ এই ঘটনায় আদালত থেকে জামিনও পান। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সুশীলের শাস্তির দাবিকে সামনে রেখে গত শুক্রবার থেকে রিনা মালবাজার থানার সামনে অনশন কর্মসূচি শুরু করে। আর এর জেরেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল কার্যত রাস্তায় নেমে আসে। অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়লে রিনাকে শনিবার রাতে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে শনিবার গভীর রাতে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী, তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া ঘোষ হাসপাতালে উপস্থিত হন। হাসপাতালে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেই রীনাকে রাখা হয়েছে। শনিবার রাতে বুলু ও মহুয়ার সঙ্গে আলোচনার পর রিনা সামান্য ভাত খান। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা বুলু ও মহুয়া তাকে খাইয়েছেন বলেই জানান। মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক, রীনা বড়াকে খাওয়ানোর পর সবাই ভেবেছিলো এবার বুঝি অনশন তুলে নিলো রীনা।
অপরদিকে অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদ সহ বেশ কিছু আদিবাসী সমাজের সংগঠনের নেতারা রবিবার হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে রীনার সঙ্গে দেখা করেন। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি তেজ কুমার টোপ্পোর বক্তব্য, আমরা রীনার সঙ্গে কথা বলেছি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতই জরুরি ওষুধ খেতে রিনা শনিবার রাতে সামান্য খাবার খান। তবে তার অনশন জারি রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গৃহীত না হলে বড় ধরনের আন্দোলন সংঘটিত করা হবে। রবিবার বহু চেষ্টা করেও রিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অপরদিকে মহুয়া বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসী জন সমাজ সহ সমস্ত মানুষের উন্নয়নে কাজ করেন। হাসপাতালে গিয়ে রিনার কাছে সমস্ত কিছু শুনেছি। আমরা ওর পাশে রয়েছি। দল সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে সমগ্র বিষয়টি এভাবে সমস্যার সৃষ্টি করায় ঘাসফুল শিবির বেশ চিন্তিত এবং দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে কানাঘুষো। সোমবারের বৈঠকে আদৌ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিনা, সে দিকেই নজর সবার।