উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১০ ই মে ২০২৩ : বুধবার : মাল ব্লকের ডামডিম অঞ্চলের প্রধান সহ ২০ জন পঞ্চায়েত সদস্য দলগত ভাবে ইস্তফা পত্র দিলেন মন্ত্রী বুলু চিক বাড়াইক এর কাছে।
ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২২ জন সদস্যের মধ্যে ২১ জন সদস্যই তৃণমূল কংগ্রেসের। আর তাদের মধ্যে কুড়ি জনই সই করে মন্ত্রীর কাছে চিঠি জমা দিয়েছেন। ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তারা শৈব বলেন, আমরা ডামডিমের সমস্ত এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজকর্ম পৌঁছে দিয়েছি। সমস্ত কাজ পরিচালনা থেকে শুরু করে দল পরিচালনা সমস্ত ক্ষেত্রেই সুশীল কুমার প্রসাদই আমাদের কান্ডারী। উভয় পক্ষের কথা না শুনে এবং সবকিছু খতিয়ে না দেখে, ব্লক সভাপতি সুশীল কুমার প্রসাদের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে পারছি না। তৃণমূল এর জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ যা সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা আমরা মেনে নিতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আমরা মন্ত্রীর মাধ্যমে দলকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে প্রশাসনিক ভাবেই ইস্তফার বিষয়টি জানাবো। আর সুশীল কুমার প্রসাদের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে বাইরে রয়েছি। আমি সব সময় দলের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করেই চলি। দলকে শক্তিশালী করার কাজ বরাবর করেছি। গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের ইস্তাফা বিষয়ে তিনি বলেন, সদস্যরা নিজেরাই ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আমার কোন ভূমিকা নেই। তবে ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানসহ ২০ জন সদস্য ইস্তাফা দেওয়ায় থমকে গেলো গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজ কর্ম। বুধবার থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতে আসবেন না প্রধান তারা শৈব্য সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা। এদিন গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে দেখা গেল ফাকা গ্রাম পঞ্চায়েত।
প্রসঙ্গত মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা বড়া সম্প্রতি সুশীলের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছিলেন। তারপরই তৃণমূল কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দল কার্যত রাস্তায় নেমে আসে। গত সোমবার মালবাজার পৌর কার্যালয়ে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির বৈঠকে বসে এই বিষয়ে করা সিদ্ধান্ত নেয়। রিনার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন সুশীলকে আপাতত তার পদ থেকে (তৃণমূল এর ব্লক সভাপতি) অব্যাহতি দেওয়া হয়। যদিও ডামডিং গ্রাম পঞ্চায়েতে সদস্যদের পাল্টা চিঠি দেয় মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক কে। তাতে লেখা রয়েছে ২০ জন সদস্য গ্রাম পঞ্চায়েতের পদ থেকে ইস্তাফা দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম পরিচালনার ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত সদস্যরা সামিল না হলে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম থমকে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা ছড়িয়েছে। এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক এদিন কোলকাতায় যান। তিনি জানিয়েছেন, ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েতে সদস্যরা আমার বাড়িতে এসে তাদের বক্তব্য জানিয়েছেন। ওদের কাজ চালিয়ে যেতে বলেছি পাশাপাশি সমস্ত বিষয় জেলাস্তরে জানানো হচ্ছে। সকলকে দলের সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করতে হবে।