উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১১ ই মে ২০২৩ : বৃহস্পতিবার : খবরের জের, গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে সাহায্য পেলেন চাপগড়ের লক্ষীমোহন রায়, তরজা শুরু রাজনৈতিক মহলে।
অসহায়, দুস্থ, গর্ত তথা খালে বসবাসকারী লক্ষীমোহন রায়কে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। বাড়িতে শুরু হয়েছে নানান রাজনৈতিক দলের নেতাদের আনাগোনা। প্রসঙ্গত উল্লেখ যে মে মাসের ১লা তারিখে ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপগড়ের বাসিন্দা লক্ষীমোহন রায়ের দুরাবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন করা হয় এরপরই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে নানা মহলে, সারা পশ্চিমবঙ্গে আলোড়ন তৈরি হয়। কারন আমগুড়ি চাপগড়ের বাসিন্দা লক্ষীমোহন রায়ের একটি চালের ঘরে পাঁচ সদস্যের বসবাস। চালের ঘর থাকলেও তা ফুটো, ভাঙা। বৃষ্টি হলে ঘরের মধ্যে পড়ে বৃষ্টির জল। বাড়িতে কোন ইলেকট্রিক নেই, নেই শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা। একটা ঘরেই কোনো রকমে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের ৫ সদস্য। এক ঘরেই রান্না-খাওয়া, রাত্রিযাপন, ঘরের বেহাল দশার কারণে ঝড় বৃষ্টির তথা প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচতে আদিম মানুষের মতো ঘরের মধ্যেই কেটেছে একটি খাল বা গর্ত কারন যদি ঘরের চাল উড়েও যায় তবু তো জীবন বাঁচবে,বর্তমান সময়েও তথা ২০২৩ সালেও এই করুন দৃশ্য দেখলে শিউরে ওঠে শরীর। বর্তমানে যেখানে রাজ্যের শাসক দল একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন সেখানে আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই পরিবারটি প্রায় সমস্ত পরিষেবা থেকেই বঞ্চিত।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা মেলেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। যদিও এই করুন ছবির কথা প্রকাশিত হয় দিদির সুরক্ষা কবচের মাধ্যমে। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দিদির দূত যখন বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিলেন সেই সময় নজরে আসে বলে জানান গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। এই বিষয়ে আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দিলিপ রায় বলেন, বিষয়টি দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির মাধ্যমে নজরে আসে। এর আগে আমাদের কাছে এর কোনো তথ্য ছিল না। সত্যি দুর্ভাগ্য জনক অবস্থা। আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে শৌচাগার, পানীয় জল এবং বাচ্চাদের পড়াশোনার পাশাপাশি একটা ঘর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে খুব দ্রুত এই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানান গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান।
খবর প্রকাশের পর সেই বাড়িতে ছুটে আসেন জলপাইগুড়ি বিজেপি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী, তিনি কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে আসেন, আসেন ময়নাগুড়ি বিধায়ক কৌশিক রায় তিনিও লক্ষীমোহন রায়ের দুরাবস্থার কথা শিকার করে নেন এবং কিছু আর্থিক সহযোগিতা করেন।