উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ২৭ শে এপ্রিল ২০২৪ : শনিবার : গ্রীষ্ম শুরু হয়েছে মাত্র কয়েকদিন আগে কিন্তু এরই বিপর্যয় দেখা যাচ্ছে। বাড়ির কূপ শুকাতে শুরু করেছে এবং অনেকের কূপ সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেছে। নারকেল, সুপারি, কাঁঠাল ইত্যাদি গাছ শুকিয়ে গেছে। এসব গাছে ফলানো ফল বিক্রি করে পরিবারের ভরণপোষণ পাওয়া এলাকার স্থানীয় লোকজন কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। আমরা মাল ব্লকের উদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উদলাবাড়ি রেলগেটের কথা বলছি। জানা গেছে, প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে চেল নদীর তীরে কূপের পানি শুকিয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। এর প্রধান কারণ নদী থেকে অবৈধ খনন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আনারা রেজিনা বেগম জানান, সুপারি গাছে লাগানো কাঁচা সুপারি বিক্রি করে তিনি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ পেতেন। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গত দুই বছর ধরে গাছটি শুকিয়ে যাচ্ছে। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে, শুকিয়ে গেছে সহস্রাধিক গাছ। এ ছাড়া নারকেল, কাঁঠাল, লিচু, বাঁশ গাছেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে আজও আমরা সবাই ব্যক্তিগত বাড়িতে বোরিং করে পানি পান করি। এতে একদিকে বিদ্যুৎ বিল দিতে হচ্ছে, অন্যদিকে বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন না। সরকারের কাছে আমাদের দাবি অবিলম্বে পানীয় জলের সমস্যা সমাধান করা হোক। অপর এলাকার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন এমডি আলম জানান, আশপাশের ১০টি বাড়ির সুপারি গাছ শুকিয়ে গেছে এবং খাবার পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি, আমরা সবাই খুব কঠিন পরিস্থিতিতে আছি কিন্তু প্রশাসন যত্ন নিচ্ছে না। পানির স্তর এত নিচে নেমে গেছে যে গাছ-গাছালি শুকিয়ে পড়তে শুরু করেছে। গাছে লাগানো কাঁঠাল পাকার আগেই শুকিয়ে যাচ্ছে। আজও আমরা সব সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি সরকারের অবিলম্বে আমাদের সমস্যাগুলোর দিকে নজর দেওয়া উচিত।