17.2 C
New York
Tuesday, June 17, 2025

Buy now

spot_img

তিস্তার গতিপথ বদলে চিন্তায় সেচ দপ্তর, ব্যাবস্থা নিতে বৈঠক আগামী সপ্তাহে।

উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৮ ই মে ২০২৪ : শনিবার : (সংবাদ দাতা – রঞ্জন সাহা ) : নদীর ‘আপন বেগে’র সঙ্গে তাল মেলাতে সেচ দফতরের হিমশিম পরিস্থিতি। ৩ রা অক্টোবর  সিকিমের বিপর্যয়ের পরে তিস্তানদী একাধিক জায়গায় গতিপথ বদলেছে। বর্ষার মরসুমের আগে তাই সেচ দফতরের বুক কাঁপছে, জল বাড়লে কোথায় কী হবে তা ভেবে। প্রতি বছরই বর্ষার আগে বন্যা মোকাবিলার কাজ শুরু হয়। কোন নদীবাঁধ দুর্বল, কোথায় নদী পাড় থেকে মাটি খসে পড়েছে অনেকটা সে সব দেখে মেরামত করা হয়। গত অক্টোবরের সিকিমের হৃদ বিপর্যয়ের পরে সমতলে তিস্তা কিছু জায়গায় নতুন পথ দিয়ে বইছে। তাই সেই সব এলাকাতেও বন্যা নিয়ন্ত্রণের কতটা কাজ করতে হবে তা নিয়ে আশঙ্কায় সেচ দফতর। সম্প্রতি আরআরআই তথা রিভার রিসার্চ ইন্সটিটিউটের তরফে তিস্তার গতিপধ বদলানোর সমীক্ষা করে গিয়েছে। সেই সমীক্ষা রিপোর্ট হাতে পেলে সেচ দফতর বন্যা মোকাবিলার কাজ শুরু করতে পারবে। সেচ দফতরের এক কর্তার কথায়, আমরা এখন সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় না হলে নদী নিজস্ব গতিতে কোথায় স্বাভাবিক ভাবে সরে গিয়েছে, কোথায় ফিরে আসার আশঙ্কা সে সব বোঝা যাবে। সেই মতো বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ না হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

সেচ দফতর ইতিমধ্যেই প্রায় ২৮ কোটি টাকার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। এই কাজের সিংহভাগই বদলে যাওয়া গতির তিস্তানদী নিয়ে। সেচ দফতরের দাবি, আগে যে এলাকাগুলি নিয়ে সেচ দফতরকে বেশি মাথা ঘাাতে হতো না সেখানে এ বছর নতুন করে বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে হচ্ছে। যেমন প্রেমগঞ্জে, সেখানে প্রায় পাঁচকোটি টাকার কাজ হয়েছে। দক্ষিণ চেংমারিতেও বন্যা রোখার কাজ চলছে। ময়নাগুড়ির বাকালির একপাশে নতুন করে তিস্তা বইছে, সেখানেই বর্ষার আগে মেরামতির কাজ চকরতে হচ্ছে। লালটং বনবস্তি এলাকায় নতুন স্পার তৈরি করতে হবে তিস্তাকে বর্ষার সময়ে রুখতে। এই এলাকাগুলিতে তিস্তা নতুন করে বইছে, সে কারণে বর্ষার সময়ে কোথাও নদীর ডানদিকে কোথাও বা দিকে এ বছর নতুন এবাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

বিপর্যয়ের পরে তিস্তা নদী কোথাও ডানদিকে কোথাও বা দিক ঘেঁষে বইছে। পুরোনো গতিপথ পাল্টে ফেলাতেই নতুন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা হয়েছে বর্ষার সময়ে। সেবক থেকে সমতলে নেমেছে তিস্তা। সেখান থেকেই গতিপথ বদলেছে। সেচ দফতরের এক বাস্তুকার বলেন, সমীক্ষার কিছু প্রাথমিক তথ্য আমরা পেয়েছি, সেই মতো কাজও শুরু হয়েছে। তিস্তা কিছু জায়গায় নতুন পথে বইছে, তাই নতুন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হবে এই আশঙ্কা তো রয়েইছে। সম্প্রতি এই রিপোর্ট হাতে আসার পর আগামী সপ্তাহের শুরুতে বন্যা নিয়ন্ত্রনে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, তাই নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে শেষ তত্ত্ব শেষ তত্ত্ব সূত্রে জানা গেছে উত্তরবঙ্গে বর্তমানে খরা পরিস্থিতি চললেও এ বছর বর্ষা আগে শুরু হবে উত্তরের জেলাগুলিতে। নিম্নচাপ বা অন্য কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তন ঘটে গত বছরের মত সিকিমে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি হলে সেই জল নিয়ন্ত্রণে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা নিয়েও চিন্তায় রয়েছে শেষ দপ্তর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য  কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের বারবার সতর্কতা সত্ত্বেও সিকিম সরকার তিস্তার উৎপত্তিস্থল লোনাক লেকের সংস্কার করেনি সিকিম সরকার। লেকের পলি সমগ্র নদী খাতে ছড়িয়ে থাকা এবং সেই জলোচ্ছ্বাসে সিকিমের সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ভেসে যাওয়ায় বহু আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়ায় পলি সরিয়ে চাষ করতে পারেনি তিস্তা নদীর চরে চাষ করা চাষীরা। পলি এবং রাসায়নিক দ্রব্যের কারণে তিস্তার বোরলি,বোয়াল সহ সমস্ত নদীয়ালি মাছের মৃত্যু ঘটে। এখনো স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি তার ওপর নদী খাতের পরিবর্তন উদ্বেগ বাড়িয়েছে সেচ দপ্তরকে।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

22,878FansLike
3,912FollowersFollow
14,700SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক খবর

error: Content is protected !!