উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২১ শে মে ২০২৪ : মঙ্গলবার : (সংবাদ দাতা – রঞ্জন সাহা ) : বাজারের যত্রতত্র পড়ে রয়েছে আবর্জনা! পুরাতন বাজারের বেহাল অবস্থায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
নিকাশি ব্যবস্থা এবং ডাম্পিং গ্রাউন্ডের অভাবে বেহাল অবস্থা ময়নাগুড়ি পুরান বাজার। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ সহ ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য অনেক পুরোনো বাজার ময়নাগুড়ির মাছ বাজার। সেখানে শেড থাকলেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই নিকাশির। ফলে বৃষ্টির জল ড্রেন দিয়ে যেতে না পারায় পুরো বাজারেই উঠছে জল। সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন ব্যবসায়ী সহ ক্রেতারা। অন্যদিকে, ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় মাছের অবশিষ্ট অংশের দরুন প্রায়ই দুর্গন্ধ ছড়ায় এলাকায়। যত্রতত্র আবর্জনা ফেলে দেওয়ার কারণে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ ফলে ব্যবসায়ীদের নাজেহাল হতে হয় বলেই অভিযোগ। ময়নাগুড়ি পৌরসভা গঠন হলেও এই সমস্যা সমাধান না হওয়ায় চিন্তিত পুরান বাজারের ব্যবসায়ী সহ ক্রেতারাও।
জানা যায়, ময়নাগুড়ি পুরান বাজার জেলা পরিষদের অন্তর্গত। নির্দিষ্ট সময়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা খাজনা দিলেও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাজারের দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বলেই অভিযোগ। জেলা পরিষদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে ময়নাগুড়ি পৌরসভা গঠন হওয়ার পর বাজার এলাকা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত হয়। কিন্তু ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বাজার পরিষ্কার করার জন্য লোক নিয়োগ করা হলেও বাজার পরিষ্কার করা হয় না বলেই অভিযোগ। কি কারণে বাজার পরিষ্কার হয়না তা জানা নেই ব্যবসায়ীদের। এদিকে দুর্গন্ধ এবং বেহাল পরিস্থিতির কারণে যখন তখন ময়নাগুড়ি এলাকায় ছড়াতে পারে ডেঙ্গুর মতো রোগ বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মহেশ দাস বলেন, বাজার নিয়মিত ভাবে পরিষ্কার করা হয় না। আমরা বার বার বিষয়গুলি তুলে ধরলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এই আবর্জনার ফলে অনেক দুর্গন্ধ ছড়ায় বাজারে। আরেক ব্যবসায়ী রাজা দাস বলেন, বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ, বাজারে জল উঠে কাদা হয়ে আছে। সাধারণ ক্রেতাদের এখানে আসতে সমস্যা হচ্ছে। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক নেই বাজারের। আমরা এই নিষ্পত্তি চাই। এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক সুমিত সাহা বলেন, বাজারের অবস্থা খুবই বেহাল। আমরা জেলা পরিষদকে একাধিকবার জানিয়েছি। ডেপুটেশন দিয়েছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আমরা আশায় ছিলাম ময়নাগুড়ি পৌরসভা হলে হয়তো সমস্যার সমাধান হবে কিন্তু সেখানেও কোনো সমাধান মেলেনি। যে ভাবে বাজারের অবস্থা হয়ে রয়েছে তাতে রোগ জীবাণু ছড়াতে পারে। ডেঙ্গু রোগ ময়নাগুড়িতেও থাবা বসাতে পারে।
এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ময়নাগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় জানান, আমরা অভিযোগটি পেয়েছি ময়নাগুড়ি জর্দা নদীতে যে ভাবে বাজারের নোংরা ফেলা হচ্ছে তাতে জর্দা নদী যে ভাবে দূষিত হচ্ছে সেটা চিন্তার বিষয়। সেই সঙ্গে ময়নাগুড়ি বাজারে যত্রতত্র আবর্জনা স্তুপ এ বিষয়ে আমরা পৌরসভা থেকে জেলা পরিষদের সঙ্গে কথা বলব।