উত্তরবঙ্গ নিউজ : শিলিগুড়ি : ২২ শে মে ২০২৪ : বুধবার : (সংবাদ দাতা – রঞ্জন সাহা ) : বিগত তিন দিন নিম্নচাপের ভ্রুকুটির কারণে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রোদের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বৃষ্টি হয়েছে সামান্যই। দক্ষিণবঙ্গে বেশ কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাত হলেও সামান্য বৃষ্টিতে ধুলো মরেছে উত্তরবঙ্গে। তাই জল পান করতে এসেও শুকনো গলায় ফিরতে হচ্ছে হাতির দলকে, পরিচিত দৃশ্য দেখতে না পেয়ে হতাশ পর্যটকরা। জল পান করতে এসেও শুকনো গলায় ফিরতে হচ্ছে হাতির দলকে, পরিচিত দৃশ্য দেখতে না পেয়ে হতাশ পর্যটকরা কার্যত খরার চেহারা নিয়েছে ডুয়ার্স।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও রোদের তাপ তীব্র শুকিয়েছে খাল বিলের জল তাই গলা ভেজাতে গিয়ে তৃষ্ণার্ত হয়েই ফিরে আসতে হচ্ছে বন্যপ্রানীদের। জলের অভাবে গলা ভেজাতে পারছে না হাতির দল। ফলে হাতিরদের দলবেঁধে জলপানের বিখ্যাত দৃশ্য দেখার সুযোগ হারাচ্ছেন পর্যটকরাও। স্বাভাবিকভাবে তাঁদেরও মন খারাপ। এখনও উত্তরবঙ্গেও তীব্র গরম। প্রবল তাপে বিভিন্ন জলাশয়, খালের জল বাষ্প হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে মানুষের পাশাপাশি বন্যপ্রাণীরাও ব্যাপক সঙ্কটে পড়েছে। পান করার মত জলটুকুও পাচ্ছে না তারা। কার্যত খরার চেহারা নিয়েছে ডুয়ার্স। তীব্র রোদে মরমর হয়ে যাচ্ছে গাছ, শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয়। জলপাইগুড়ির গাজলডোবার রাস্তার পাশের ক্যানেলের বর্তমান পরিস্থিতি এমনই। ফলে সেখানে জল পান করতে এসে শুকনো গলাতেই ফিরতে হচ্ছে হাতিদের। অথচ এক সময় হাতিদের অবাধ আনাগোনা ছিল এই মহানন্দা ক্যানেলে। তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি এখানে স্নান করতেও দেখা যেত হাতিদের। কিন্তু গরম পড়তেই বন্ধ হয়েছে ক্যানেলের জল ছাড়া। উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে ঘুরতে আসা পর্যটকরা হাতিদের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, দল বেঁধে জল পান, স্নান করার সময় লুটোপুটি খাওয়ার দৃশ্য দেখার জন্য গজলডোবার এই ক্যানেলের কাছে ভিড় করছেন বেশকিছুদিন। কিন্তু এখন আর সেই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না। ফলে অনেক আশা নিয়ে আসা পর্যটকরা কিছুটা হলেও মুষড়ে পড়ছেন। মুখ বেজার করেই ফিরতে হচ্ছে পর্যটকদের। এদিকে তীব্র জলকষ্টে ভুগছে হাতিরাও। অনাবৃষ্টিতে সমস্যার সম্মুখীন সকলেই। এখন চাতক পাখির মত বৃষ্টির আশায় দিন গুনছে জলপাইগুড়ি।