উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ফাটাপুকুর : ২৫ শে মে ২০২৪ : শনিবার : (সংবাদ দাতা – রঞ্জন সাহা ) : ঐতিহ্যবাহী পুকুরের রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে বন্ধ হতে বসেছে, সেই সুযোগে পুকুর দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছে হোটেল ব্যবসায়ীরা।ঐতিহ্যবাহী পুকুর। অথচ রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংস্কারের অভাবে কার্যত ধুকছে। উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানাবো বলেই দায় সাড়লেন প্রধান।
জলপাইগুড়ি জেলার এই পুকুরের নামেই জায়গার নাম ফাটাপুকুর। রাজগঞ্জ ব্লকের পানিকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি জাতীড় সড়কের কিনারে অবস্থিত। বতর্মানে গোটা পুকুরটি কার্যত আবর্জনার স্তূপে পরিনত হয়ে গেছে। ইউট্রোফিকেশনের জেরে গোটা জলাশয়টি কুচুরিপানা ও বিভিন্ন হোটেলের আবর্জনা থেকে শুরু করে বাজারের আবর্জনা পর্যন্ত ফেলে ভর্তি হচ্ছে পুকুর। কোথাও কোথাও আবার দখলেরও ছবি দেখা গেছে। যা একসময় পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনায় ভর্তি ছিল। তবে ঐতিহ্যবাহী এই পুকুরের অবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ ফাটাপুকুরবাসীরা। অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রশাসনিক উদাসীনতায় পুকুরের এই অবস্থা।
পুকুরের পাশাপাশি পুকুরের উপরে ন্যাশনাল হাইওয়ের ধার দিয়ে একাধিক হোটেল ও বিভিন্ন দোকান বসেছে যার ফলে ফুটপাত দিয়েও চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। আর এই সমস্ত ব্যবসায়ীরাই তাদের যত নোংরা আবর্জনা রয়েছে সবই এই পুকুরে ফেলছে। যার ফলে জল দূষণ ও বায়ু দূষণ হচ্ছে। এই পুকুরে আগে এলাকার সামাজিক কাজের জন্য এমনকি পারিবারিক কাজের জন্য জল নেওয়া হত এমনকি স্নান করতো অনেকেই। নোংরা আবর্জনা ফেলার ফলে জল নেওয়া তো দূরে থাক সেই জলে পা দিলে নানান ধরনের রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। শুধু এখানেই নয়, তাদের দাবী এসজিডিএ থেকে নাকি সৌন্দর্যয়ানের করার কথা রয়েছে অথচ সেই কথা এখনো কথাতেই। দ্রুত পুকুর সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ফাটাপুকুরবাসী। অন্যদিকে প্রশাসনিক উদাসীনতাকেই দায়ী করছে বিজেপি। বেহাল পুকুরের অবস্থা স্বীকার করে নেন স্থানীয় প্রধান পাপীয়া সরকার। তার মুখেও শোনা গেছে এসজেডিএর গল্প। কিন্তু কি কাজ, কবে কাজ, কিই বা হবে সেই সম্পর্কে স্পষ্ট উত্তর তিনি দিতে পারেন নি। দায় এড়িয়েছেন উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানাবো বলে। এখন দেখার ফাটাপুকুরবাসীর এই দাবি মেনে নেয় প্রশাসন।