উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২৮ শে মে ২০২৪ : মঙ্গলবার : (সংবাদ দাতা – রঞ্জন সাহা ) : ১২ নম্বর ওয়ার্ডের গুরুত্বপুর্ন রাস্তা বেহাল, ভেঙে আছে কালভার্টও টেন্ডার হয়ে কাজ আটকে আছে সিসি রোডের হেলদোল নেই পৌরসভার।
পৌরসভা গঠন হওয়ার আগে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রাস্তা মেরামত করা হলেও বর্তমানে রাস্তার বেহাল অবস্থা হয়ে রয়েছে। ময়নাগুড়ি পৌরসভার গুরুত্বপুর্ন রাস্তা হওয়া সত্বেও রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেই। অভিযোগ, গ্রামীণ এলাকায় প্রায় সমস্ত রাস্তা পাকা কিংবা সিসি রোড করা হলেও পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি রাস্তা এখনো পাকা হয়নি। ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলপাইগুড়ি যাওয়ার মূল রাস্তার পাশে গুরুত্বপুর্ন এই রাস্তা দীর্ঘদিন থেকে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সেখানে একটি কালভার্ট রয়েছে যার অবস্থা খুবই বেহাল। যেকোনো সময় সেখানে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এই রাস্তায় শুধু মাত্র ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের পাশাপাশি ১০, ১১ নম্বর ওয়ার্ড সহ গ্রামীণ এলাকার প্রচুর মানুষ চলাচল করেন। পাশেই বেশ কিছু স্কুল থাকায় প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী এই রাস্তা ধরেই যাতায়াত করেন। ফলে দ্রুত এই রাস্তা মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এই বিষয়ে ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভবেশ সাহা বলেন, আগে জেলা পরিষদ মেরামত করলেও এখন পৌরসভা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। রাস্তার মেরামতি হোক বা নতুন করে তৈরি করুক রাস্তাটি। এই রাস্তার মধ্য দিয়ে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। রাস্তায় একটি কালভার্ট রয়েছে, সেটি প্রায় পঁচিশ বছর আগে তৈরি হয়েছে, এখন অবস্থা বেহাল। আমরা চাই এর দ্রুত সমাধান করুক পৌরসভা। আরেক বাসিন্দা সুধীর চন্দ্র পাল বলেন, যেখানে গ্রামীণ এলাকার প্রায় প্রতিটি রাস্তা পাকা কিংবা সিসি রোড হয়ে গেছে সেখানে আমাদের ওয়ার্ডের একটি রাস্তা এখনো কাঁচা হয়ে আছে। রাস্তার অবস্থাও বেহাল। বিষয়টি আমরা কাউন্সিলরকে জানিয়েছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। যদিও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সিসি রাস্তার কাজের সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তার কাজ শুরু হলেও কোনো অজ্ঞাত কারণে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এই রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুহিন কান্তি চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এই বিষয়ে পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় বলেন, আমাদের বর্তমানে ফান্ডের সমস্যা রয়েছে। টাকা আসলেই ওই রাস্তা এবং কালভার্টের কাজ করা হবে। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। মূলত ওই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ রাস্তা। প্রচুর মানুষ এই রাস্তা ধরেই যাতায়াত করেন। আমাদের টাকা এলেই রাস্তার কাজ করা হবে।