উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ৩০ শে মে ২০২৪ : বৃহস্পতিবার : (সংবাদ দাতা – রঞ্জন সাহা ) : ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স সহ জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হয় মঙ্গলবার রাতে। এর জেরেই যেন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে পেল জলপাইগুড়িবাসী।
জলপাইগুড়ি জেলার জলপাইগুড়ি সদর, ময়নাগুড়ি, ধুপগুড়ি, গয়েরকাটা, বানারহাট সহ মাল বাজারে মঙ্গলবার মেঘলা আকাশ ছিল দিনভর তারপরেই রাতে প্রবল দমকা হাওয়া সাথে নামে বৃষ্টি। বুধবার সকাল থেকে মেঘলা আবহাওয়া থাকলেও বেলার দিকে আকাশে মেঘ থাকার কারণে ভ্যাবসা গরম অনুভূত হয় জলপাইগুড়ি জুড়ে। তবে জেলা জুড়ে বৃষ্টির কারণে স্বস্তির মাঝেই চিন্তা বাড়িয়েছে তিস্তার জলচ্ছাস। উত্তর সিকিমে ভারী বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে তিস্তা নদী। বিপদসীমার উপরে বইছে তিস্তা নদীর জল। সারারাত বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি জেলার মাল মহকুমার বাগড়াকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের তিস্তাপাড় সংলগ্ন টোটগাঁও গ্রামে ইতিমধ্যে ঢুকতে শুরু করেছে তিস্তার জল রীতিমতো আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। উত্তর সিকিমে বৃষ্টির কারণে তিস্তার জলস্ফীতি বাড়তে পারে সেজন্য বিষয়টি নিয়ে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। তিস্তা নদীর জল টোটগাঁও গ্রামে ঢুকতে শুরু করায় পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে গ্রামবাসীদের। কারণ এর আগেও তিস্তার বিপর্যয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল এই এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ি বালাপাড়ার তিস্তা পারের বাসিন্দা সুমিত্রা বিশ্বাস জানান মঙ্গলবার রাত থেকে জল বাড়ছে তিস্তার, পাহাড়ে বৃষ্টির কারণে সকালে পর থেকে বেশী পরিমাণে জল ছাড়ছে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে যার ফলে অনেকটাই জল বেড়েছে তিস্তার।