উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ৪ ঠা মে ২০২৪ : মঙ্গলবার : (সংবাদ দাতা – রঞ্জন সাহা ) : বর্ষার এখনো বেশ কিছুদিন দেরি, তার মাঝেই নিম্নচাপের কারণে কয়েক দিনের বৃষ্টি কপালে ভাঁজ ফেলেছে সেচ দপ্তরের। তার ওপরে গত বছরের তিস্তার বন্যা এবং তার ফলে তিস্তার গতিপথের পরিবর্তন সেচ দপ্তরের কর্মধারার অনেকটাই পরিবর্তন এনেছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে শনিবার থেকে খুলে গেলো সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুম। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত খোলা থাকবে সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুম।
কন্ট্রোল রুম খুলতেই জোর কদমে কাজ শুরু হয়েছে সেচ দপ্তরের কর্মীদের মধ্যে। উত্তর পূর্ব সেচ এবং জলপথ দফতরের আধিকারিক তথা মুখ্য বাস্তুকার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক শনিবার কন্ট্রোল রুম খোলার কথা জানিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতি এবং নদীগুলির জলস্ফীতি পর্যবেক্ষণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবছরের মতো এই বছর ও সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুম খোলা হয় এই সময়েই জলপাইগুড়িতে। বর্ষায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা সহ যেকোন ধরনের বিপদ এড়াতে প্রস্তুত সেচ দফতর। ইতিমধ্যে উত্তর সিকিমে ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছিল তবে বর্তমানে জল অনেক টাই কমে গিয়েছে। তিস্তা ,জলঢাকা, ডায়না সহ বিভিন্ন পাহাড়ি নদীগুলির গতি এবং জলস্ফীতির উপর কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এমনটাই জানা গেছে। গত কয়েক দিনের সিকিম ও তিস্তার অববাহিকায় ক্রমাগত বৃষ্টি কারণে আবার তিস্তার জল বাঁচতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এবারের বর্ষায় তিস্তার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ শেষ দপ্তরের বলে জানা গেছে কারণ গতবারের সিকিমের জলশিতির কারণে তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে নতুন গতিপথে তিস্তাকে নিয়ন্ত্রিত রাখার কাজ সম্পূর্ণভাবে করা তো দূরের কথা পরিকল্পনাই এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে নেওয়া যায়নি বলে জানা যাচ্ছে। শেষ দপ্তর সূত্রে।