উত্তরবঙ্গ নিউজ : কোচবিহার : চ্যাংড়াবান্ধা : ৭ ই মে ২০২৪ : শুক্রবার : (সংবাদ দাতা – অভিজিৎ বর্মন ) : চ্যাংড়াবান্ধায় পাথর আমদানির আড়ালে রমরমিয়ে চলছে অসৎ ব্যবসা। চলতি বছরের গত ৬ ই মে কলকাতার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অভিক এন্ড সন্স এর থেকে ১৮ টন চায়না ক্লে পাউডার আমদানি করেন বাংলাদেশের মেসার্স নুর এন্টারপ্রাইজ। চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরের সি আন্ড এফ প্রতিষ্ঠান মেসার্স উওম এন্ড ব্রাদার্স এর মাধ্যমে WB51 A3744 নম্বরপ্লেট যুক্ত গাড়িতে করে চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দরে আনা হয়। যথা সময়ে পণ্য না পেয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দ্বারস্থ হয় আমদানিকারক সংস্থা।
পুলিশ তদন্তে নেমে তুহিনুজ্জামান বাবু মনোয়ার হোসেন নামে দুজন কে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধৃতদের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী বাংলাদেশের হাতিবান্ধা থেকে ক্লে পাউডার উদ্ধার হয় । উদ্ধারের সময় পাউডার এর ভেতর থেকে অবৈধ ভাবে পাচারকৃত সিটি গোল্ডে র তৈরি ১০ কার্টন বিভিন্ন গয়না, ইনজেকশন সিরিঞ্জ, ক্যানুলার এর ৩০ টি কার্টন বাজেয়াপ্ত করে। এসব পণ্যের মূল্য প্রায় কোটি টাকা। অভিযোগের উঠছে ভারতে কার মদতে এই সমস্ত অসৎ ব্যবসা চলছে। কারাই বা যুক্ত আছে এই অবৈধ ব্যবসার সাথে। প্রশাসন কেনো কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নাকি কোনো রাঘববোয়াল এর হাত আছে প্রশাসন পিছু হটছে।ব চ্যাংড়াবান্ধা স্থল বন্দরের সি. এন্ড এফ এজেন্ট রাই কি যুক্ত ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। যারা প্রকৃত দোষী তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হউক। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৭ ই ফেব্রুয়ারি ও ২০২৩ সালের ২৭ শে মার্চ পাথরের আড়ালে অবৈধ ভাবে শাড়ি, মোবাইল ফোন, শিশা, কাপ সিরাপ, মহিলাদের প্রসাধনী সামগ্রী পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে। সেক্ষেত্রেও কিন্তু বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসে। প্রশ্ন উঠছে এত কঠোর নিরাপত্তা সত্ত্বেও কি ভাবে পন্যের আড়ালে এত চোরাচালান চলছে। প্রশাসন কি তাহলে ঠুটো জগন্নাথ এর ভূমিকা পালন করছেন? এই বিষয়ে, সি. এন্ড এফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান মেসার্স উওম এন্ড ব্রাদার্স এর কর্ণধার উত্তম সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কি বললেন শুনুন।