জলপাইগুড়ি : ধূপগুড়ি : ১২ই ডিসেম্বর ২০২০ : শনিবার : নিম্নমানের কাজ করায় এক মাসের মধ্যেই বসে গেল কংক্রিটের সেতু। ভাঙার জন্য আসল জিসিপি, দুর্নীতির অভিযোগ স্থানীয়দের। একদিকে যেমন মূখ্যমন্ত্রীর জনকল্যাণমূলক কর্মসূচী প্রচার করতে ব্যস্ত ধূপগুড়ির বিধায়ক থেকে তৃণমূল নেতৃত্ববৃন্দরা। অন্যদিকে ধূপগুড়ীর মাগুরমারীতেই প্রায় চার লক্ষ টাকার কংক্রিটের সেতু তৈরির দুর্নীতির অভিযোগ তুলল এলাকাবাসীরা। এদিন পঞ্চায়েত প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেসিপি লাগিয়ে সেই কংক্রিটের সেতুটিকে ভাঙতে গেল স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা যায় নির্মাণমান কন্ট্রাকটারকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরুতে নিম্নমানের কাজ করায় কংক্রিটের সেতুটি বসে যায় এবং এদিন ফের সেই ব্রীজটি জিসিপি লাগিয়ে ভাঙতে শুরু করে প্রশাসন। অবশ্য মাগুরমারী- ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের এই নিয়ে বক্তব্য- কংক্রিটের সেতুটি বসে যাওয়ার কথা জানার পরেই, প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেতুটি জলের প্রচন্ড চাপে ভেঙে যায়। যেহেতু কাজটির গন্ডগোল হয়েছে তাই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দিষ্ট বারদ্ধকৃত টাকায় পূর্নরায় কংক্রিটের সেতুটি নির্মাণ করার জন্য বলা হয়েছে। জানা গেছে, মাগুরমারী-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীরহাট এলাকার ১৫/১১০ নং পাঠের বশেরডাঙ্গা থেকে রায় পাড়া যাওয়ার রাস্তায় পাঁচ মাস আগে একটি কংক্রিটের সেতু তৈরি করা হয়। সেতু তৈরির করার এক মাসের মধ্যেই সেই সেতুটি রাস্তা থেকে বসে যায় বলে অভিযোগ। এমনকি ব্রিজের নিচের অংশে ফাটল ধরে বলে অভিযোগ উঠে। এদিন দুর্বল এবং বসে যাওয়া কংক্রিটের সেতু ভাঙার জন্য জিসিপি লাগানো হয়। এই নিয়ে এলাকাবাসীদের বক্তব্য, কংক্রিটের সেতুটি যখন নির্মাণ করা হয় ঠিক সে সময়ে নিম্নমানের কাজ করা হয়। এই নিয়ে এলাকাবাসীরা প্রতিবাদ করলে এলাকাবাসীদের কোথায় কোনো কর্ণপাত করা হয়নি, উল্টে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ববৃন্দ এসে জোরপূর্বক নিম্নমানের কাজটি করে বলে অভিযোগ।