শিলিগুড়ি : ৫ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ : শুক্রবার : বৃহস্পতিবার এন জি পির ঘটনায়, ফের সরগরম গোটা এলাকা। এলাকাজুড়ে পুলিশি টহল। চলছে দফায় – দফায় ধরপাকড়। পুলিশি তল্লাশি চললো তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রসেঞ্জিত রায়ের বাড়িতেও।
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকালে, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন স্থলবন্দরে ঝামেলার ঘটনায়, ফের উত্তাল নিউ জলপাইগুড়ি এলাকা। স্থলবন্দরে কর্মসংস্থান নিয়ে, দীর্ঘদিন ধরেই গোষ্ঠি কোন্দল চলছিল তৃণমূল কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েও, কোনও সুরাহা মিলছিল না বলে অভিযোগ তোলেন তৃণমূল কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠন নেতা প্রসেঞ্জিত রায়। বৃহস্পতিবার প্রসেঞ্জিত রায় স্বদলবলে, স্থলবন্দরের দফতরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কোম্পানির ম্যানেজার, কর্মী এবং কর্তাদের মারধর করা হয়। এরপর স্থলবন্দর কতৃপক্ষ প্রসেঞ্জিত রায় সহ বেশ কয়েকজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করে।
রাত থেকে শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড়। শুক্রবার সকাল থেকেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন এলাকার দোকানপাঠ বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল যানবাহনও। পুলিশের আশ্বাসে, বেশকিছু দোকানপাঠ খুললেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা নজরে এসেছে। সকাল থেকেই পুলিশি টহল। এরপর শুরু হয় ধরপাকড়। প্রসেঞ্জিত অনুগামী বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে, দেশবন্ধুপাড়ায় প্রসেঞ্জিতের বাড়িতেও যায় পুলিশ। গেটে তালা ঝোলানো অবস্থায় ডাকা-ডাকি করেও কোনও সাড়া মেলেনি। তবে কি পুলিশের ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছে প্রসেঞ্জিত? মুখ্যমন্ত্রীর শহরে থাকাকালীন এহেন ঘটনার নিন্দায় সরব দার্জিলিং জেলা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অরূপ রতন ঘোষ। তার কথায়, এবিষয়ে জেলা স্তরে আলোচনা চলছে। রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক গৌতম দেব বাইরে রয়েছেন। তিনি এলেই, সবিস্তারে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি। দলীয় গোষ্ঠিকোন্দলের ব্যাপারে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। তেমন কোন ঘটনা প্রমানিত হলে, দলীয় স্তরে আলোচনা করেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।