জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ : সোমবার : কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে আলু বীজ উৎপাদন করছে কৃষকেরা। মালবাজার ব্লকের গাজোলডোবা ফার্মাস ক্লাব এবং রাজগঞ্জ ব্লকের মিলন পল্লী সবুজ বিপ্লব ক্লাবের প্রায় ৫০ জন কৃষক প্রায় ১০ একর জমীতে আলু বীজ তৈরি করছে। তাও আবার সরকারী উদ্যোগে নেট হাউজ তৈরি করে তার মধ্যে চলছে আলুর বীজ উৎপাদন প্রকৃয়া।
এদিন এই নেট হাউজ এ আলুর বীজের গুনগত মান দেখতে আসেন রাজ্যের আলু গবেষনা কেন্দ্রের প্রধান শায়ন্তন দে, জলপাইগুড়ি জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা মেহফুস আহমেদ সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। উনারা বিভিন্ন আলু বীজ উৎপাদন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। এতে আধিকারিকেরা খুশি।
তাদের বক্তব্য এর আগে পাঞ্জাব বা হরিয়ানা থেকে আলুর বীজ আনতো কৃষকেরা। তাতে বীজের দাম বেশি হত এবং বীজের গুণগত মান ভাল হতো না। এতে কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি হত। এখন আমরা সরকা্রী উদ্যোগে আলুর বীজ উৎপাদনে সহযোগীতা করছি। নেট হাউস তৈরি করে আলুর বীজ তৈরি করার ফলে, ভাইরাজ বা জীবানু মুক্ত আলু বীজ উৎপন্ন হয়। এতে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। মাঝে মধ্যে আমরা এসে সরেজমিনে ক্ষতিয়ে দেখছি। এব্যাপারে এলাকার কৃষক শিলাদিত্য দাস (প্রশিক্ষন প্রাপ্ত কৃষক) শ্যামপদ বলেন, তিন বছর আগে থেকে কেন্দ্রিয় আলু গবেষণা কেন্দ্র এবং এবছর রাজ্য আলু গবেষনা কেন্দ্র আমাদের নেট সহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সহযোগিতা করছে। সেই কারনে এখন আমরা বাইরে থেকে আলুর বীজ আনছি না। পাশাপাশি আমাদের তৈরি বীজ যথেষ্ট ভাল এবং উন্নত।
বর্তমানে এই এলাকায় ১০ একর জমিতে ১৭ প্রজাতির আলুর বীজ তৈরি হচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছে হিমালিনি, চন্দ্রমুখী, সর্য, চিপসোনা ৩-৪, গোরিমা, লিমা, লোলিত, লালিমা, পোখরাজ, জ্যোতি, ৭০০৮, ৭০১৫, প্রভৃতি। বর্তমানে এলাকার বহু কৃষক এলাকার আলু বীজ দিয়ে আলু চাষ করেছে।