মালদা : ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ : বুধবার : ঝুট বোলে কাউয়া কাটে। ভুরি ভুরি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচন আসলে অংক পাল্টে দেয় বিজেপি। হিন্দু-মুসলমানে দাঙ্গা লাগায়, শিখ-খ্রিস্টানে দাঙ্গা লাগায়, গুন্ডামি করে করে। পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানার চাষিরা কানছে, কিন্তু বাংলার, চাষিরা হাসছে। কারণ বাংলায় ক্ষমতায় বিজেপি নেই। আমাকে একটা সরকার দেখান, বিনা পয়সায় রেশন দেয়। একমাত্র আমাদের সরকার বিনে পয়সায় রেশন দেয়। বিজেপির নেতারা বড় বাঁশ। তাদের শুধু বড়-বড় কথা। হিন্দু ধর্মকে নিয়ে ছেলে খেলামু করছে বিজেপি। এখন তো আবার রথ যাত্রা। মালদায় বিজেপি জিতে কি উন্নয়ন করেছে। বিজেপি কে নিয়ে আসা মানে দাঙ্গাকে নিয়ে আসা। দিল্লি থেকে রিমোট কন্ট্রোল করে বাংলা চালাবেন ভাবছে। কিন্তু আমরা তা করতে দেবো না। বুধবার মালদার জনসভা মঞ্চ থেকে এই ভাবেই বিজেপিকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, বুধবার মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে ইংরেজবাজারের যুব আবাস ময়দানে এক জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। দুপুর দুটো ১৫ নাগাদ রায়গঞ্জ থেকে হেলিকপ্টারে করে ডি এস এ মাঠে এসে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর পায়ে হেটে যোগ দেন জনসভা মঞ্চে। উপস্থিত ছিলেন পুর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর, চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল সহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিন কর্মীদের ভিড় ছিল উপচে পড়া। মালদা জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে কাতারে কাতারে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা পুরাতন মালদার সেতু মোর থেকে মিছিল করে এসে জনসভায় যোগ দেন। জনসভা মঞ্চে ভাষণ রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি বারবার মালদায় এসেছেন। মালদার উন্নয়ন করেছেন কিন্তু বারবারই তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে মালদার মানুষ। তাই এবার মালদার মানুষকে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। এরপরই কুড়ি মিনিটের বক্তব্যে বিজেপিকে চাচা ছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে ছেলে খেলামু করছে বিজেপি। আমরা এদের ছেড়ে কথা বলবো না। বিজেপি নেতাদের অনেক পয়সা। আপনারা ওদের কাছ থেকে টাকা নেবেন কিন্তু ভোট টা দেবেন তৃণমূলকে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জনসভা মঞ্চ থেকে মালদা জেলার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সমস্যা সমাধানে জন্য আগামীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।