জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২০শে ফেব্রুয়ারী ২০২১ : শনিবার : অর্থের অভাবে বা সরকারী সাহায্য না পেয়ে সমস্যায় কুস্তীর প্রশিক্ষন কেন্দ্র। অথচ এই প্রশিক্ষন কেন্দ্র থেকে বিগত দিনে বহু ছাত্র-ছাত্রী ভিন্ন রাজ্যে কুস্তি খেলতে গিয়েছে এবং রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করেছে। তাই সরকারী সাহায্যের দিকে তাকিয়ে কুস্তি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের খেলোয়াড় থেকে প্রশিক্ষক। মাল মহকুমার গাজলডোবা কমিউনিটি হলে চলছে কুস্তীর প্রশিক্ষন। জলপাইগুড়ি জেলা কুস্তি এসোসিয়েশনের অধীনে এই প্রশিক্ষন কেন্দ্র।
এই কেন্দ্রের প্রশিক্ষক আশীষ শীল জানান, বহু বছর থেকে বিনা পারিশ্রমিকে এখানে ছেলে মেয়েদের প্রশিক্ষন দিয়ে আসছি। কোন রকম সাহায্য পাচ্ছি না। যাতে ছেলে মেয়েদের ঠিকঠাক প্রশিক্ষন দিতে পারি। এই প্রশিক্ষন শিবিরে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কুচবিহার জেলা থেকে ছেলে মেয়ে মিলে ৫০ জনের মত প্রশিক্ষনের জন্য এখানে থাকছে। এতগুলি ছেলেমেয়েদের জন্য নেই ভাল থাকার জায়গা, নেই ঠিকঠাক খাবারের ব্যাবস্থা, নেই উপযুক্ত শৌচাগার। আলাদা শৌচাগার না থাকায় খুব অসুবিধা মেয়েদের। সমস্যা পানীয় জল ও বিদ্যুতের আলোর। এই অসুবিধার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও মাল বি ডি ও কে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে ছেলেমেয়েদের খাওয়ার ও বিদ্যুৎ ও শৌচাগারের সুব্যবস্থা করা হয়। মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে কোনরকম খুড়িয়ে চলছে এই প্রশিক্ষন কেন্দ্র।
এবার এই সংস্থা সাব জুনিয়র, জুনিয়র ও অনুর্ধ ২০ বছরের ছেলেমেয়েদের জাতীয় প্রতিযোগিতায় এই সংস্থা থেকে অংশ নেবে। প্রতি গ্রুপে চারজন অংশ নেবে। সেই জন্য ২০ থেকে ২৮ শে ফেব্রুয়ারী প্রশিক্ষন চলবে এই গাজোলডোবার প্রশিক্ষন কেন্দ্রে। এখানে যেমন গজল্ডোবা হাই স্কুলের রিংকু শৈব রয়েছে, তা ছাড়া রয়েছে অপর্না বর্মন সহ অন্য ছেলে মেয়েরা। গত বছর জলপাইগুড়ি জেলা থেকে চারজন জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। প্রতিযোগিতা হয়েছিল দিল্লী ও আগ্রাতে। ভাল ফলও করেছিলো। মার্চ-এপ্রিল এ আবার ন্যাশানাল খেলতে যাবে ছেলে মেয়েরা।