জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৫ই মার্চ ২০২১ : সোমবার : তারঘেরা ও বৈকন্ঠপুর বনাঞ্চলের মাঝখানে গজলডোবা কৃষি বলয়। এই গজলডোবায় ৭০% মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কৃষকরা যখন ফসলি জমিতে উৎপন্ন সব্জি ক্ষেত গজরাজের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা, অন্যদিকে উৎপন্ন ফসলের বাজারে বিক্রীর ক্ষেত্রে কম দাম পাওয়া; এই দুইয়ের মাঝখানে দোলা খেতে খেতে কৃষক ভূগছেন হতাশায়।
নেট হাউসের মাধ্যমে জীবানুমুক্ত বীজ দিয়ে আলুর উৎপাদন বেশী হলেও কৃষকের চেহারায় আশংকার ছাপ কিন্তু যায়নি। বেশী আলু উৎপাদন করে ভাল দামের আশায় খুশী খুশী ভাব মিলিয়ে যায় যখন আলুর বিক্রীর বাজার দর তলানীতে। এই বছর গজলডোবা ১০ নং এলাকার চন্দনা সরকার, সুশান্ত দাস, গীতা রানীদাস ও অন্য কৃষকরা জানান, এইবার উৎপাদন ভাল হয়েছে।
কিন্তু প্রতি কিলো বিক্রীর দর মাত্র ৫ টাকা হওয়ায় লোকসানের সামনে পড়তে হয়েছে কৃষকদের। কিন্তু যে দামে কৃষকরা বাজারে আলু বিক্রী করছেন, তারা বাজার থেকে আলু অনেক বেশী দামে কিনছেন। এক কৃষক বলেন, লক ডাউনের সময় ৫০ টাকা কিলোদরে আলু কিনতে হয়েছে। অথচ আমদের উৎপন্ন আলুর বাজার দর নেই। এছাড়া, জমি থেকে আলু উঠাতে যা খরচ হয় তার থেকে জমিতেই আলু রেখে দিচ্ছেন অনেক কৃষক। আলু বেচে লাভ তো হয় না। এই অবস্থায় ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে সঞ্চয়ের টাকা নিঃশেষ হয়ে যায়। এ বিষয়ে সরকার সাহায্য না করলে সমস্যায় পরবে কৃষকেরা, দাবী এলাকার সকল কৃষকদের।