জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৭শে এপ্রিল ২০২১ : মঙ্গলবার : মঙ্গলবার ছিল মালবাজার শহরে সাপ্তাহিক বন্ধের দ্বিতীয় দিন। করোনা আতঙ্কের জেরে শহরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই বন্ধে সারা দিয়েছে। শহর কার্যত সুনসান। মানুষ তাদের গুটিয়ে নিয়েছে বাড়ির ভিতরে।
সাপ্তাহিক বন্ধের দ্বিতীয় দিনেও মৃত্যু পিছু ছাড়লো না। এদিনও দুই সংক্রামিত রোগী মারা গেছেন। নতুন করে সংক্রামণ ধরা পড়েছে ২৭ জনের শরীরে। প্রথম মৃত ব্যাক্তির নাম সত্যরঞ্জন পাল (৫৯)। বাড়ি শহরের ৪নম্বর ওয়ার্ডে। পেশায় ব্যবসায়ী সত্যবাবু কয়েকদিন আগে টিকা নিয়েছিলেন। তারপর থেকে জ্বরে ভুগছিলেন। চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন। গত শুক্রবার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হয়। পরিবারের লোকজন মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে বিশ্ববাংলা কোভিদ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে শিলিগুড়ির এক বেসরকারী নার্সিহোমে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে পজিটিভ ধরা পড়ে, মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান। অপর মৃত ব্যাক্তির নাম লালমোহন দাস (৬৪)। বাড়ি শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। গত কয়েকদিন ধরে শ্বাসকষ্ট সহ অন্যান্য সমস্যায় ভুগছিলেন। শিলিগুড়ির এক বেসরকারী নার্সিহোমে চিকিৎসা চলছিল। তিনিও মঙ্গলবার সকালে মারা যান। মৃত দাসের স্ত্রী অঞ্জলি দাস মঙ্গলবার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে শিলিগুড়ির এক বেসরকারী নার্সিহোমে ভর্তি হন। একদিকে ক্রমবর্ধমান সংক্রামণ অন্যদিকে মৃত্যু। এই দুই ভীতিতে শহরের মানুষ কার্যত আতঙ্কিত। এই দ্বিতীয় সপ্তাহিক বন্ধের দিন শহর কার্যত সকাল থেকে সুনসান হয়ে যায়।
সকাল থেকেই রাস্তা ঘাটে লোক দেখা যায়নি। বিডিও অফিস চত্তরে রয়েছে খাদ্য, শিক্ষা ও ভুমি রাজস্ব দপ্তরের অফিস। সরকারী অফিস খোলা থাকলেও লোকজন দেখা যায়নি। বাসস্ট্যান্ডে কিছু বাস, ম্যাজিক চলাচল করলেও যাত্রী ছিল নগন্য। জাতীয় সড়ক, বাজার রোড, স্টেশন রোড সব ছিল সুনসান। করোনা আতঙ্কের জেরে শহরের মানুষ নিজেকে ঘরে সেঁদিয়ে নিয়েছে। এই নিয়ে গত ২৮ দিনে ১৯ জন এর মৃত্যু হল মালবাজারে।