মালবাজার : ১৬ই জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার : ডুয়ার্সের নদী ও ঝোড়াগুলির উৎস উত্তরের পাহাড়ি এলাকা। সেখান থেকে উৎপত্তি হয়ে চা-বাগান, গ্রামাঞ্চল ও বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বড় নদীতে মিসেছে। এই নদী ও ঝোড়া গুলি সারাবছর চাষাবাদ ও বন্যপ্রাণীর পানীয়জলের যোগান দিয়ে যায়। শীতের সময় শুখার মরসুম। এই সময় চা-বাগান থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে আবাদের জন্য সেচের প্রয়োজন হয়। ভরসা এই নদীগুলি। চা-বাগানগুলি নদীর উজানে থাকায় তারা বিভিন্ন নদীতে বাধ দিয়ে সেচের জন্য জল তুলে নিচ্ছে। এই কারনে নিচের দিকে গ্রামাঞ্চলে ও বনাঞ্চল এলাকায় নদী গুলি শুখিয়ে যাচ্ছে। এতেই সমস্যায় পড়ছে নদীর ভাটি এলাকার মানুষ ও বনের পশুপাখি। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবেশ প্রেমী থেকে বনকর্মীরা।
ডুয়ার্সের নদী গুলির উজান এলাকায় ঘুরলেই দেখা ডায়না, জলঢাকা, মাল, নেওরা, চেল, কালীখোলা সহ বিভিন্ন নদী ও ঝোড়ার মধ্যে জেসিবি মেশিন দিয়ে বিরাট পুকুরের মতো গর্ত বানিয়ে নদীর জল সঞ্চয় করা হয়। তারপর পাম্প দিয়ে সেই জল তুলে সেচ ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করছে একাধিক চা-বাগান। এই কারনে নদীর নিচের দিকে অববাহিকা এলাকায় জলহীন হয়ে পড়ছে। এতেই শুখিয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চলের তৃনভুমি। চাষের জন্য গ্রামাঞ্চলের মানুষ জল পেতে সমস্যায় পড়ছে। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিবেশ প্রেমীরা। পরিবেশ প্রেমীদের বক্তব্য, এভাবে জল তুলে নেওয়া অনুচিত। নদীর অন্যান্য অঞ্চলে জলের সমস্যা হয়। এই জল মানুষ সহ বনের পশুপাখি পান করে। এখানে রানীচেরা চা বাগান ঝোড়া জল আটকে সেচ করছে। এগুলো অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। এবিষয়ে বিভিন্ন মহলে চিঠি দিয়েছে পরিবেশ প্রেমীরা বলে জানায়।
এনিয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের কাছে এনিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা এবিষয়ে এক মনিটারিং কমিটি করে খোঁজ নিয়ে দেখব কোথায় কোথায় এসব চলছে। তারপর বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মেটেলি কৃষান খেত মজদুরের সভাপতি বাবু হাসান জানান, ডাউন স্টিমে এই ভাবে জল শুকিয়ে যাচ্ছে তাতে অসুবিধার মুখে পরছে কৃষকেরা। অভিলম্বে এই সব বন্ধ করা উচিত।