জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৪শে জুন ২০২১ : বৃহস্পতিবার : আন্তর্জাতিক চা-দিবস উপলক্ষ্যে চা এর গুণ বাড়ানোর উদেশ্যে শিলিগুড়ি, কলকাতা, গৌহাটি, কোচিন, কুন্নুর, কোয়াম্বটুর এই ছয়টি জায়গায় চা নীলামে বিক্রি হয়। শিলিগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রে বিশেষ নীলামি কার্যক্রমের অধীন ডুয়ার্স তরাই এর বেশ কিছু চাবাগান অংশ নিয়েছিল। টি বোর্ডের নির্দেশ অনুসারে সিটিসি, অর্থোডোক্স, গ্রীন টি নিলামে ওঠে। তরাইএর লোহগর চা বাগানের গ্রীন টি অধিকতম ৬১০ টাকা, ডুয়ার্সের আনন্দপুর চা বাগানের সি টি সি চা ৪০০ টাকা প্রতি কেজি হয়।
ডুয়ার্সের প্রবেশদ্বার মাল মহকুমার ওয়াশাবাড়ী চা বাগানের অর্থোডক্স চা, সবচেয়ে বেশী প্রতি কিলো ২০০০ টাকা দামে বিক্রী হয়। এই খবরে চা বাগানের ম্যানেজমেন্ট ও চা শ্রমিকদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যায়। ওয়াশাবাড়ী চা বাগানের গুদাম ম্যানেজার সুকান্ত সাহা বলেন, সারা ভারতে চায়ের গুনাবলী নির্ধারনে টি বোর্ড ভাল পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে বিভিন্ন চা বাগানে উৎপাদনের মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে উৎসাহ সৃষ্টি হবে। চা বাগানের ম্যানেজার রাজ কুমার মন্ডল বলেন, শ্রমিক ও কতৃপক্ষের পরিশ্রমের ফসল পাওয়া গেল। এই বাগানের অর্থোডক্স চা বেশী দাম পেল। এতে বাগানের সবাই খুশী।
এই বাগানে অর্থোডক্স ও সিটিসি চা উৎপন্ন হয়। ডুয়ার্সে খুব কম চা বাগানে অর্থোডক্স চা উৎপন্ন হয়। এই বাগানে ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ায় চা তৈয়ারী হয়। এর জন্য অনুকুল আবাহাওয়া দরকার। প্রথমে চা বাগান থেকে তিন দিনের কচিপাতা তুলে গুদামে আনা হয়। এরপর ১৬-১৭ ঘন্টা শুকান হয়। এর পর হাত দিয়ে চা পাতাকে ১৫-২০ মিনিট রোল করান হয়। আবার সেটাকে শুকানো হয়। তার পর ব্যাগে প্যাক করা হয়। তারপর সেটা বাজারে বিক্রীর জন্য পাঠান হয়। চা শ্রমিকরা এই খবরে ভীষন খুশি।