উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৪ই জুলাই ২০২১ : বুধবার : লিস নদীর হড়পা বানের হাত থেকে বাগ্রাকোটকে রক্ষা করতে ৩ বছর আগে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করেছিল কালিম্পং সেচ দপ্তর। দু বছর পেরোতেই সেই বাঁধের একাংশে বিশাল ফাটল ও কংক্রিটের চাই ভেঙে পড়েছে। প্রায় এক বছর ধরে বাঁধের ওই অংশ বেহাল হয়ে পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হুঁশ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য যে, গত ১৫ বছরে ভরা বর্ষায় দু-দুবার লিস নদীর হড়পা বানে বাঁধের উল্লিখিত অংশে ফাটল ধরে হু হু করে প্রবল জলস্রোতে বানভাসি হতে হয়েছিল বাগ্রাকোটের বাসিন্দাদের। পরপর দু বারের ভোগান্তির পর সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে লিস নদীতে হড়পা বান ঠেকাতে মজবুত বাঁধ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় সেচ দপ্তর। ঘটনাচক্রে বাঁধের ফাটল ধরা অংশটি আবার জলপাইগুড়ি সেচ ডিভিশন এবং কালিম্পং সেচ ডিভিশনের বর্ডার এরিয়া। সেই মতো জলপাইগুড়ি ডিভিশনের অধীনে কয়েকবছর আগে স্বাভাবিক নিয়মে মাটির বাঁধ তৈরি করা হয়। যা এখনও অটুট রয়েছে।
অন্যদিকে, জিটিএ’র অধীন কালিম্পং সেচ দপ্তর ২০১৮ সালের জুন মাসের আগে সেখানে প্রায় দেড়শো মিটার দীর্ঘ উঁচু কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করে। দুই ডিভিশনের তরফেই বর্ষা এলে লিস নদীবাঁধের ওই অংশে নিয়মিত নজরদারী চালানো হয় বলে সেচ কর্তারা জানিয়েছেন। হঠাৎ করে কি ভাবে বাঁধের এই অংশটি ভেঙে পড়লো তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন সেচ দপ্তর। অন্যদিকে, বর্ষার দাপটে পাহাড় থেকে নেমে আসা লিস নদীর জলোচ্ছ্বাস রোধ করতে কালবিলম্ব না করে দ্রুত বাঁধের ওই অংশ মেরামতির দাবী জানিয়েছেন বাগ্রাকোটের বাসিন্দারা। ইতি মধ্যে এই বাঁধ পরিদর্শন করে গেছেন রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি জানিয়েছেন, মাল মহকুমার বিভিন্ন বাঁধ পরিদর্শন করেছি। যে সব বাধ ক্ষতি হয়েছে তা অবিলম্বে মেরামত করা হবে। আর যে গুলো বাঁধ বর্ষার সময় ঠিক করা যাবে না। সেই সব বাঁধ বর্ষার পর ঠিক করা হবে।
এব্যাপারে মালবাজারের মন্ত্রী তথা আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক বলেন, এব্যাপারে জিটিএ’র সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং জেলার আধিকারিকদের সাথেও কথা বলবো। কোন ভাবেই যেন বাগ্রাকোট এলাকার মানুষের অসুবিধা না হয় সেটাই দেখা হচ্ছে।