উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ৭ই আগষ্ট ২০২১ : শনিবার : অবৈধভাবে রেশন সামগ্রী বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে মজুত করা হচ্ছিল গুদামে, এরপর সে গুলি চালান করা হচ্ছে বিভিন্ন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। আর এই খবর জানতে পেরে শনিবার অভিযানে নামেন জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতর। এদিন খাদ্য সরবরাহ দফতরের সাব ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অজয় মিশ্র, ময়নাগুড়ির জয়েন্ট বিডিও ও ময়নাগুড়ি পুলিশ প্রশাসনের সাথে এই অভিযানে নামেন তারা। অভিযানে দুটি গোডাউন সিল করে দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দুয়ারে রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে রেশন থেকে বঞ্চিত না হয় এই কারণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এক ধরণের অসাধু ব্যবসায়ী রেশনের চাল, গম, আটা মজুত করে কালোবাজারী করছে বলে অভিযোগ। শনিবার এই খবর পেয়ে অভিযানে নামেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। ময়নাগুড়ির বাইপাসের ধারে মাসের পর মাস ধরে এভাবেই চলছিল কালোবাজারীর কারবার বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই অভিযানে নামেন জলপাইগুড়ি জেলা খাদ্য দপ্তর এবং ময়নাগুড়ির প্রশাসনের আধিকারিকরা। অভিযানে দুটি গোডাউনের সন্ধান পাওয়া যায়। যেখানে মিলেছে খাদ্য দফতরের বিপুল পরিমানের রেশন সামগ্রী। মিলেছে বেশ কিছু আটার প্যাকেট, যার তারিখ গুলিও এক্সপায়ার করেছে। এছাড়াও বেশ কিছু চাল, গমের সন্ধান মিলেছে গোডাউনে। খাদ্য দপ্তর থেকে অবৈধ দুটি গুদামকেও সিল করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনকে। পুলিশের পক্ষ থেকে শনিবার বিকেল নাগাদ দুটি গোডাউনের রেশন সামগ্রী গুনতি করে সিল করে দেওয়া হয়। জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতরের সাব ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অজয় মিশ্র বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখানে দুটি গোডাউন দেখা গেল অনেক রেশন সামগ্রীর প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে। এই বিষয়টি আমরা আমাদের উচ্চ আধিকারিককে জানাবো। আপাতত পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে গোডাউনটি সিল করে দিতে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে রেশন খাদ্য সামগ্রী চোরাপথে এই গুদামে আসতো। এরপর পেকেট পরিবর্তন করে সেগুলি পাচার করা হত। অনেক দিন ধরেই এই ধরণের কারবার চলছে বলেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান। তবে প্রশ্ন উঠছে কেমন করে প্রশাসনের চোখের আড়ালেই ময়নাগুড়িতে এই অবৈধ কারবার গড়ে উঠেছে? এর পিছনে অনেকেরেই হাত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। প্রশাসনের অভিযানের খবর পেয়েই অবশ্য গা-ঢাকা দিয়েছে অবৈধ কারবারের সাথে যুক্ত ব্যবসায়ী। এই গোডাউনে মজুত করে রাখা সামগ্রীর মালিক রাজু সাহা কে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।