মালদা : ১১ই ফেব্রুয়ারী, মঙ্গলবার : মালদা জেলার চাচোল ২ নম্বর ব্লকের মালতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াটোলা গ্রামের নিতাই দাস তিনি দুই চোখে ঠিকমতো দেখতে পায় না। যার জন্য কর্ম ক্ষমতা হারিয়েছে, ঠিকমতো চোখে না দেখতে পাওয়ার কারণে কাজ মিলছে না কোথাও। একদিকে বার্ধক্য অন্যদিকে দৃষ্টিহীন চরমবিপাকে পরিবার। পরিবারের চারজন সদস্য এক ছেলে ও এক মেয়ে। এক বেলা খায় ও দুই বেলা পেট পুরে খেতে পায়না পরিবারটি, অভাবে তাড়নাকে পিছে রেখে ছেলেটি এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলেছে। অথচ সরকারিভাবে কোনো কোন সুবিধাই পায়নি এই পরিবারটি।
অনেকবার সরকারি ঘর নেওয়ার জন্য আবেদন পত্র জমা করেছিল, লিস্টে নাম উঠেছিল কিন্তু কাট মানি না দিতে পারার কারণে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে নিতাই দাস। অভিযোগ মালতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আগে কংগ্রেস পরিচালিত মেম্বার এবং প্রধানদের একাধিকবার অনুরোধ ও যোগাযোগ করলে কোনরুপ সুবিধা মেলেনি পরিবারটির। বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানসহ মেম্বারের কাছে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও শুধু হয়রানির শিকার ছাড়া কোনো রকম লাভ হয়নি।
যার কাছে যাচ্ছে অগ্রিম কাটমানির দাবি করে। তাই সরকারের কাছে আবেদন রাখছে পরিবারটি তাদের সরকারি সুবিধা দেওয়া হোক না হলে পরিবারসহ স্বেচ্ছামৃত্যুর আদেশ দেওয়া হোক। বর্তমান শাসকদলের বিভিন্ন নেতা নেত্রী বর্গরা দিদিকে বল কর্মসূচী নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে খাওয়া-দাওয়া করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে। কিন্তু চাচোল ২ নম্বর ব্লকের মালতিপুর নয়াটোলা গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে কেউ পৌঁছালো না এখন পর্যন্ত। এমনকি মালতিপুর পঞ্চায়েত প্রধানকে বারংবার জানানো সত্ত্বেও কোনরকম কর্ণপাত করে না এই ঘটনার। নয়াটোলা গ্রামের প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই বিভিন্ন সমস্যায় রয়েছে সবাই কেউ বিধবা ভাতা পাচ্ছে না কেউ বাড়ি নেওয়ার জন্য অগ্রিম টাকা দিয়েও বাড়ি পায়নি। এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এ খবর পেয়ে মালদা থেকে ছুটে যায় হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন কাউন্সীল এর সভাপতি সমাজসেবী শুভদীপ সরকার, তিনি চাচোল ২ নম্বর ব্লকের বিডিও সাহেব অমিত কুমার সাউকে বিস্তারিত জানান। তারপর বিডিও সাহেব বলেন বিষয়টি যদিও আমার জানা ছিল না আমি খতিয়ে দেখে প্রাথমিকভাবে যতটা সাহায্য করার সে ব্যবস্থা করছি।