উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ২৫ শে আগষ্ট ২০২১ : বুধবার : “রিক্সা ও রিক্সা, ভাড়া যাবে?” বাড়ি থেকে বেরিয়ে মহিলাদের এই মধুর ডাক এখন আর শোনা যায় না। বাজারে এসেছে নতুন প্রযুক্তির টোটো গাড়ি। এই টোটো করে খুব কম সময় অনেকদূর পর্যন্ত যাওয়া যায়। রিক্সায় টোটোর থেকে সময় বেশি লাগে, তা মানুষের কাছে এখন অধৈর্যের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণে মানুষ এখন রিক্সা তুলনায় টোটোতে বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করে।
এর ফলে রিক্সাওলারা এক বিশাল ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে, তার ওপর করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে লকডাউন এর ফলে রিক্সার যে চাহিদা তা একেবারেই কমে গেছে এর ফলে যে সব রিক্সাওয়ালার রিক্সা চালিয়ে দিন কাটাত তাদের অবস্থা এখন দুর্বিসহ হয়ে দাড়িয়েছে। এই রিক্সা চালানো কে কেন্দ্র করে তাদের মাথায় এক বিশাল বাজ পড়েছে। কারণ একেই তো রিক্সার বাজার খারাপ, তার ওপর লকডাউন এ বিষয়ে তারা জানায় এভাবে চলতে থাকলে তাদের আর পরিবার চালাতে হবে না। পরিবারকে নিয়ে রাস্তায় পড়তে হবে। তারা করুণভাবে সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন যদি সরকার কিছু সাহায্য করে। বর্তমান যুগে মানুষ খুবই ব্যস্ত, কারন অনলাইন যুগে ব্যস্ত হতেই হবে, না হলে পিছিয়ে যাবে। তাঁর মধ্যে সময় পাল্লা দিয়ে চলতে হবে। কম সময় অনেক দুরে চলে যায় বৈদ্যুতিক রিক্সা। কিছু মানুষ রিক্সা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বৈদ্যুতিক রিক্সা চালাতে, আবার কেউ অভাবে কিনতে পারেনি। কিন্তু পেট কী আর মানবে কেউ কেউ এই কাজ ছেড়ে অন্য কাজে ডুকে পড়ছে। আবার গত বছর থেকে মহামারী জন্য বন্ধ গোটা দেশ। সেই সময় তাদের অভাব অনটন মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। চলে গেল মনসা পুজো, ঈদ, মহরম। দুর্গাপুজো সামনে, গত বছরের মতো পুরনো জামা প্যান্ট পড়েই কি পুজো দেখতে হবে, বাড়ির পরিবারের সকলের জন্য কি নিতে পারবে না নতুন বস্ত্র, তা অজানা। রিক্সায় খুব কম যাত্রীই এখন ওঠে। আয় নেই, ধরতে গেলেই তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, কি ভাবে চলবে দিন। সরকারের কাছে তাদের আবেদন, কিছুটা যদি সাহায্য পাওয়া যেত তাহলে খুবই উপকার হতো। এ বিষয়ে এক রিক্সা চালক সাধন দাস বলেন, যে পুজো যদি বড় হয় তাহলে কিছুটা ভাড়া পেতেও পারি, মানুষ যদি পুজোয় ঘুরে বেড়াতে পারে কিছুটা আয় হবে। কিন্তু যদি পুজো ছোট হয়, তাদের অভাব আরও বাড়বে, একপ্রকার উপোশ করেই থাকতে হবে পরিবার নিয়ে।