উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ৩০ শে আগষ্ট ২০২১ : সোমবার : চা বাগানের মালিক হস্তান্তরিত হওয়ার পর থেকেই বর্তমান মালিক পক্ষের সাথে শ্রমিকদের একাংশের বিরোধ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার ময়নাগুড়ির ব্রহ্মপুরের ছোট দোমহনি এলাকার দাসপাড়ার বসুন্ধরা চা বাগানে উত্তেজনা ছড়ালো। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ময়নাগুড়ির বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ময়নাগুড়ির ব্রহ্মপুর এলাকার দাসপাড়ার প্রায় ৮২ বিঘা জমি নিয়ে তৈরি হয়েছিল চা বাগান। কোম্পানী স্থানীয় জমিদাতাদের সাথে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পর জমি ক্রয় করে নেন। এরপর ২০১৩ সালে কোম্পানী স্থানীয় কয়েকজনকে জমি বিক্রি করে যায় বলে অভিযোগ। জমির মালিকানা হস্তান্তরিত হওয়ার পর থেকেই শ্রমিক তথা জমিদাতাদের একাংশের সাথে বিরোধ শুরু হয় বর্তমান মালিক পক্ষের সাথে। এই নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করা হলেও এখনও সমাধান হয়নি বলেই অভিযোগ। স্থানীয় শ্রমিক তথা জমিদাতাদের অভিযোগ, তারা কোম্পানীকে জমি দিয়েছেন তার পরিবর্তে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা তারা পেতেন। কিন্তু জমির মালিক পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে তারা সেই সমস্ত সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনকি মালিকদের বাড়িতে নিয়ে গিয়েও কাজ করানোর অভিযোগ তোলেন তারা। তাই তাদের দাবি তাদের জমি ফেরত দিতে হবে, না হলে পুনরায় পুরোনো কোম্পানীর হাতে দিতে হবে। স্থানীয় এক শ্রমিক বলেন, এই বাগানের মালিক এখন ১৪-১৫ জন। আমাদের হাজিরা কম দেয়, কোনো রকম সুযোগ সুবিধা পাই না, বরং আমাদের হাজিরাও কম দেয়, তাই আমাদের জমি ফেরতের দাবি জানাই।
অন্যদিকে বর্তমান মালিক পক্ষের একজন মদন রায় বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে পুরনো কোম্পানীর কাছ থেকে জমিগুলি ক্রয় করি। অনেক শ্রমিক কাজ করছেন তাদের কোনো সমস্যা নেই । কিন্তু কয়েকজন মাঝে মাঝেই এখানে ঝামেলা সৃষ্টি করে। এই নিয়ে তাদের সাথে একাধিকবার বসা হয়েছে। বিডিওর সাথেও বসা হয়েছে। কিন্তু সেখানে সিদ্ধান্ত হয় যে তারা জমির কাজ করতে পারবেন কিন্তু জমি ফেরত পাবেন না। সেটা মেনে নেওয়ার পরেও বার বার শ্রমিকদের একাংশ এখানে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধা দেয়। এই উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ বাহিনী। পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।