জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৫ই ফেব্রুয়ারী, শনিবার : ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের হুসলুডাঙ্গা বুথে শুক্রবার রাতে বিজেপি ও টিএমসির নেতা কর্মীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও ধস্তাধস্তির ঘটনায় তৃণমূল নেতা ভোম্বল ঘোষ গুরুতর অবস্থায় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা যায় । ঘটনার তদন্তে নেমেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ ।
জানা যায় , বৃহস্পতিবার রাতে টিএমসির মল্লিকহাট বুথ সভাপতি ভোম্বল ঘোষ ও বিজেপি নেতা সুরেশ রায় ও গৌর ঘোষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ধস্তাধস্তি হয় । ঘটনার জেরে , ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ সেদিন রাতে সুরেশ রায়কে গ্রেফতারও করে । পরের দিন শুক্রবার রাতে বিজেপির কিছু কর্মী-সমর্থক ভোম্বল ঘোষকে হুসলুডাঙ্গা বাজারে আটক করে বেধড়ক মারধর করে এবং মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ । ঘটনার জেরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান থেকে তাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল রেফার করা হয় । পরে তাকে শিলিগুড়ি একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে । এই ঘটনার পর শুক্রবার মধ্যরাতে টিএমসির কর্মী-সমর্থকরা একত্রিত হয়ে বিজেপির স্থানীয় নেতা কৃষ্ণ রায় , বিশ্বজিৎ রায় ও বাপি ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ । টিএমসির ময়নাগুড়ি ব্লক নেতা মনোজ রায় বলেন , ” বিজেপি কর্মীরা যেভাবে আমাদের দলের একজন কর্মীকে মেরেছে সেটা অবশ্যই নিন্দনীয় । তার জন্য আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানাব ।”
অপর দিকে বিজেপির ময়নাগুড়ি ব্লকের সাধারণ সম্পাদক অশোক রায় বলেন, ” বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন । টিএমসির নেতাকর্মীরা পুলিশের সাহায্য নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রান করছে । বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল কর্মীরা পুলিশকে ডেকে আমাদের একজন কর্মীকে জোর করে থানায় দেয় । শুক্রবার রাতেও তারা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায় এবং চারজনকে গ্রেপ্তার করে ।”
অন্য দিকে, শনিবার আক্রান্ত ভোম্বল ঘোষের বাড়িতে যান জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণী, এস, জে, ডি, এ -র চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মন, বিধায়ক অনন্ত দেব অধিকারী তৃণমূল নেতা মনোজ রায়, সহ অন্যান্যরা। তারা আক্রান্ত ভোম্বল ঘোষের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দিক পুলিশের সাথে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন।