উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি-মালবাজার : ২২ শে সেপ্টেম্বর ২০২১ : বুধবার : ইচ্ছা শক্তি থাকলে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। আর সেটা করে দেখালো মালবাজার মহকুমার নাগ্রাকাটা ব্লকের ভগতপুর চা বাগানের যুবতী গীতিকা এক্কা। গীতিকা উচ্চ শিক্ষার জন্য লন্ডনে পাড়ি দিচ্ছে। গীতিকার বাবা গণেশ এক্কা ভগতপুর চাবাগানের প্রাক্তন শ্রমিক। মা কমলা এক্কা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা।
কালিম্পংয়ের একটি স্কুল থেকে ২০১৩ সালে মাধ্যমিকের ফলাফল খুব একট ভাল হয়নি। তারপরও ভেঙে পরে নি গীতিকা। ২০১৫ সালের উচ্চমাধ্যমিকে কলা বিভাগে ৮৬ শতাংশ নম্বর পায় গীতিকা। এরপর প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সুযোগ পান নয়াদিল্লির পুশার ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট, নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্যাটারিং-এর কোর্সে। ২০১৮ সালে সেখান থেকে বিএসসি ডিগ্রি পাওয়ার পর শুরু হয় আরও কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার লড়াই। এবার গীতিকা যাচ্ছে লন্ডনে। সেখানকার ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট রিলেশন বিষয়ের ওপর এমএসসি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আগামী ২৬ তারিখ লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হবে গীতিকা। আগামী তিন বছর লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়াশুনা করবে সে। লন্ডন থেকে ফিরে এসে উত্তরবঙ্গেই পর্যটন নিয়ে কাজ করতে চায় সে। গীতিকা-র বাবা গণেশ এক্কা বলেন, চা বাগানেই বাস করছি। আমি চাই আমার মেয়ের মত চাবাগানের অন্য ছেলেমেয়েরাও পড়াশুনায় মনযোগী হোক। দেখা গেছে চাবাগানের ছেলে মেয়েরা মাঝ রাস্তায় পড়াশুনা ছেড়ে দেয়। আমি সেই সব মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলবো মন দিয়ে পড়াশোনা করলে এরকম বিদেশি সফর অনেক আসবে।
এই অসাধারণ কৃতীত্বের জন্য বুধবার গীতিকাকে সংবর্ধনা জানালো জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। ডুয়ার্সের নাগরাকাটার ভগৎপুর চা-বাগানের বাসিন্দা গীতিকা এক্কা। তাঁর বাবা গনেশ এক্কা ও মা কমলা এক্কা। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর দিল্লিতে পড়াশোনা করে সেখান থেকে বিএসসি পাশ করেছেন গীতিকা। এবার হিউম্যান রিসোর্স অ্যাণ্ড এমপ্লয়মেন্ট রিলেশন বিষয় নিয়ে লন্ডনের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছেন চা-বাগানের এই মেধাবী কন্যা। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন তিনি। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে তাঁর ক্লাস। গীতিকার এই অসাধারণ কৃতীত্বের জন্য এদিন জেলা পরিষদ ভবনে তাঁকে সংবর্ধিত করেন সভাধিপতি উত্তরা বর্মন। উপস্থিত ছিলেন সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ সহ অন্যান্যরা। গীতিকার সাফল্য কামনা করেন সকলে।