উত্তরবঙ্গ নিউজ : শিলিগুড়ি : ২৫ শে সেপ্টেম্বর ২০২১ : শনিবার : স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে প্রাণ ফিরে পেল সাত বছরের এক শিশুকন্যা। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রশংশায় পঞ্চমুখ শিশুর পরিজন। পুতুলের জন্মদিন পালন করতে গিয়ে, অগ্নিদগ্ধ হয় পাঁচ বছরের শিশু শিউলী। দিনটা ছিল, ২০১৯ সালের ৩১ শে জানুয়ারী। বাড়িতে দুই মেয়েকে রেখে, স্বামীহারা শিউলীর মা সরস্বতী চক্রবর্তী ১০০ দিনের কাজে গিয়েছিলেন। কর্মস্থলে ছোট মেয়ের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর পান। ছুটে যান হাসপাতালে, সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ। সেখানেও সুচিকিৎসা না পেয়ে, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গৌতম গোস্বামীর দ্বারস্থ হন পরিজনেরা। প্রায় বছর দেড়েক শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয় শিউলীর। চিকিৎসকেরা জানান, শিউলীর দ্রুত সুস্থতার জন্য, শরীরের বেশ কিছু জায়গায় প্লাস্টিক সার্জারি করা প্রয়োজন। অর্থ জোগাড় করতে হিমশিম খান শিউলীর পরিজনেরা।
সরস্বতী চক্রবর্তীর কথায়, গৌতম গোস্বামীর সহায়তায় মেয়ের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়েছে। তারই মদতে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেই মেয়ের প্লাস্টিক সার্জারি করানো সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গৌতম গোস্বামী জানান, শিশুটি খেলার সময়ে, পাঁচ বছর বয়সে অগ্নিদগ্ধ হয়। প্রাথমিক স্তরে যথাসাধ্য চিকিৎসা করানো হয়েছে। প্লাস্টিক সার্জারি করানোর অর্থ জোগান করা সম্ভব হয়ে উঠছিল না। শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে, শিউলীর চিকিৎসা করা হয়েছে। এবছর দূর্গা পুজোর মুখে, শিউলীর জামা কাপড় সহ চিকিৎসার জন্য পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছি। সেই সময় হাসিমুখে শিউলী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে বলে, গৌতম মামা, আজকেই মোবাইলের ব্যালেন্স শেষ হয়েছে, এক্ষুনি রিচার্জ করে দাও। আবদারের ফল স্বরূপ তৎক্ষনাৎ মোবাইলে ম্যাসেজ টোন বেজে ওঠে। ফের হাসি মুখে, মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে শিউলী।