উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৮ শে সেপ্টেম্বর ২০২১ : মঙ্গলবার : সোমবার রাতে নাকা চেকিং এর সময় একটি নীলবাতি লাগানো গাড়ি আটক করে মালবাজার থানার পুলিশ। গাড়ির সামনে লেখা রয়েছে ডিসি কিষাণগঞ্জ। এছাড়া যে বোর্ডে ডিসি লেখা রয়েছে তার উপরে রয়েছে অশোকস্তম্ভ। গাড়ির মধ্যে চালক সহ ৫ জন ছিল।
সোমবার রাতে মালবাজার থানার কাছে চলছিল পুলিশের নাকা চেকিং। সেই সময় বানারহাটের দিক থেকে একটি নীলবাতি লাগানো গাড়ি দ্রুতগতিতে ট্রাফিক রুল ব্রেক করে শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিলো। এরপর মালবাজার পুলিশ পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলে ওই গাড়িটি। নিয়ে আসা হয় মালবাজার থানায়। গাড়ি থাকা ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এই গাড়িতে থাকা পাঁচ জনের মধ্যে এক ব্যাক্তি ছিল, যার নাম নরেন্দ্র কুমার। তিনি নিজেকে কিষান গঞ্জের ডিসি বলে পরিচয় দেন অর্থাৎ ডেপুটি কালেক্টর। তবে ডেপুটি কালেক্টর এর কোন কার্ড বা পরিচয় পত্র দেখাতে পারেন নি। একেক সময় একক রকম কথা বলছিল। তিনি বলেন, বিহারে এরকম নীলবাতি লাগানো অবস্থা ঘোরা যায়। বেঙ্গলে এরকম কড়াকড়ি সেটা তার জানা নেই। জানা গেছে, এই গাড়িটি নরেন্দ্র কুমারের পার্সোনাল গাড়ি। আর এতেই প্রশ্ন উঠছে পার্সোনাল গাড়িতে কি নীলবাতি লাগিয়ে এই ভাবে চলাচল করা যায়। নরেন্দ্র কুমার বলেন, তার পেটে কিছুদিন আগে অপাররেশন হয়েছে। তাই ডক্টর দেখাতে শিলিগুড়ি যাচ্ছিলেন। তাই নীলবাতি জ্বালিয়ে যাচ্ছিলেন, যাতে দ্রুত ডক্টরের কাছে যেতে পারেন।
এব্যাপারে কিষানগঞ্জের এডিএম এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নরেন্দ্র কুমার নামে কোন ডেপুটি কালেক্টর তার দপ্তরে নেই। এব্যাপারে পুলিশ যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেক। কিষানগঞ্জ এডিএম নরেন্দ্র কুমারকে ফোনে প্রশ্ন করেন কেন তিনি এই ভাবে নীলবাতি এবং ডিসির সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঘুরছেন? এব্যারে নরেন্দ্র কুমার কিষানগঞ্জের এডিএম কে জানান, তার ভুল হয়েছে। যাতে দ্রুত চিকিৎসককে দেখাতে পারেন তার জন্য নীলবাতি জ্বালিয়ে ছিলেন। তবে ডিসি কিষাণগঞ্জের বোর্ড টি ঢাকা ছিল। এব্যাপারে মালবাজার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে গাড়িতে থাকা ৫ জন কেই। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নরেন্দ্র কুমার কিষানগঞ্জের লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক। তবে নরেন্দ্র কুমার অসুস্থ্য থাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।