উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ২ রা মার্চ ২০২২ : বুধবার : একদা লালদুর্গ বলে পরিচিত ডুয়ার্সের মালবাজার শহরের পৌর নির্বাচনে হেরে গেলেন বাম আমলের দুই চেয়ারম্যান হেভিওয়েট নেতা। সেই সাথে পাঁচ জন বাম প্রার্থীর জামানত জব্দ হলো। পৌরসভা বাম-কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল।
প্রায় ৩২ বছর হয়ে গেছে মাল পৌরসভার বয়স। দীর্ঘ এই বছরগুলিতে একাধিক বার পালা বদল হয়েছে। বামেরা কখনও শাসক হিসাবে আবার কখনো বিরোধী হিসাবে থেকে গেছে। ১৯৯০ সালে পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর টানা ৯ বছর বামেদের হাতে ছিল। ১৯৯৯ সালে প্রথম কংগ্রেসের নিরঞ্জন দাস চেয়ারম্যান হন। মাত্র আড়াই বছরের মাথায় আস্থা ভোটে হেরে যান। চেয়ারম্যান হন সিপিএমের পার্থ দাস। ২০০৪ সালে আবার কংগ্রেসের সুলেখা ঘোষ চেয়ার পারসন হন। ২০০৯ সালে আবার সিপিএম সমর্থিত নির্দল হিসাবে জেতা সুপ্রতিম সরকার চেয়ারম্যান হয়। ২০১৪ সালে প্রথম তৃনমুলের স্বপন সাহা চেয়ারম্যান হয়ে বিদায়ী বোর্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবারও সিপিএমের প্রতিক চিহ্নে সাবেক দুই চেয়ারম্যান পার্থ দাস ও সুপ্রতিম সরকার প্রার্থী হন। সিপিএমের অজয় গড় হিসাবে চিহ্নিত শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছিলেন সিপিএমের সুপ্রতিম সরকার। দল সহ অনেকের আশা ছিল তিনি জিতবেন। কিন্তু, তাকে ৫৪ ভোটে হারিয়ে জায়েন্ট কিলার হিসাবে উঠে আসেন তৃণমূলের তরুণ প্রার্থী অমিতাভ ঘোষ। জনতার রায় মেনে সুপ্রতিম বাবু কাউন্টিং সেন্টার ছেড়ে যান।
অপর দিকে সিপিএমের প্রাক্তন এরিয়া কমিটির সম্পাদক তথ একদা চেয়ারম্যান পার্থ দাস দাড়িয়ে ছিলেন সিপিএমের দূর্গ ১১ নম্বর ওয়ার্ডে, কিন্তু তাকে হারিয়ে দেয় তৃণমূলের তরুণ প্রার্থী অজয় লোহার। পার্থ দাস শুধু হারেনই নি তৃতীয় স্থানে নেমে গেছেন। দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর সাথে বামেদের ৫ প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়। বামেদের এই চরম বিপর্যয়ে একে একে সবাই কাউন্টিং সেন্টার ছেড়ে চলে যান।