জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৯শে মার্চ ২০২০, বৃহস্পতিবার : করোনা ভাইরাস এর আতঙ্কে এবার ডুয়ার্সের সব থেকে বড় সাপ্তাহিক হাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলো গ্রাম পঞ্চায়েত, হাট ব্যবসায়ী সমিতি এবং মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। ডুয়ার্সের সব থেকে বড় হাট মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়িতে প্রতি রবিবার হয়। এই সাপ্তাহিক হাটে পাহাড়, চা-বাগান এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা আসে। প্রায় রবিবার সাপ্তাহিক হাটে ৮ হাজার ব্যাবসায়ী বিভিন্ন জিনিস নিয়ে হাট বসেন। আর ক্রেতার সংখ্যা প্রচুর। যার ফলে হাটে প্রচুর ক্রেতার সমাগম হয়। আর এত ভিড়ের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রামন হতে পারে তাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের করোনা নিয়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মধুমিতা ঘোষ, উপ-প্রধান সুশীল সরকার, মার্চেন অ্যাসোসিয়েশন এর সহ-সম্পাদক আনন্দ আগরওয়ালা, হাট ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তম দে সরকার, সমাজসেবী তমাল ঘোষ বিভিন্ন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য এবং ব্যবসায়ীরা। ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মধুমিতা ঘোষ বলেন, দিন দিন কোরনা ভাইরাস এর আতঙ্ক বারছে এলাকায়। তাই সাধারন মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই দু সপ্তাহ, সাপ্তাহিক হাট এবং বাজার বন্ধ রাখার ঘোষনা করা হয়েছে। কারন এই হাটে প্রচুর মানুষের ভীড় হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই ভীড় বা জমায়েত করতে মানা করা হয়েছে। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ওদলাবাড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর সহ সম্পাদক আনন্দ আগরওয়ালা বলেন, করোনা আতঙ্ক এখন প্রত্যেক মানুষের মধ্যে। তাছারা আমাদের এখান থেকে যারা ভিন্ন রাজ্যে কাজে গিয়েছিল, তারা সবাই এখন ফিরছে, তাই আমরা চাইছি হাট বাজারে ভীড় না হোক। সেই কারনে রবিবার ব্যাবসা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতি মধ্যে মাইকিং এর মাধ্যমে সবাইকে জানানো হচ্ছে।
ওদলাবাড়ি হাট ব্যাবসায়ীর সম্পাদক উত্তম দে সরকার বলেন, আমরা জানি পর পর দু সপ্তাহ হাট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সব সাধারণ মানুষের স্বার্থে। কারন এই হাটে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষেরা এই হাটে আসে। আর এই হাট থেকে কোরনা সংক্রামণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। আমরা জানি এতে ব্যাবসায়ীদের ব্যাবসার ক্ষতি হবে কিন্তু মানুষের স্বার্থে, সর্ব সম্মতি ক্রমেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
