উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ১৩ ই মে ২০২২ : শুক্রবার : চাকরি না পেয়ে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী এক তরুণী। শুক্রবার সকালে তার নিজের শোয়ার ঘর থেকে ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকেরা। মৃত তরুণীর নাম প্রিয়াংকা দাস (২৩)। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকা জুড়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এলাকার একটি বিড়ি ফ্যাক্টরির ম্যানেজার দিলীপ দাস। কয়েক বছর আগে তার স্ত্রী ও একই ভাবে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। বর্তমানে তার দুই মেয়ে শ্রাবন্তী এবং প্রিয়াঙ্কা। শ্রাবন্তী সম্প্রতি ব্যাঙ্গালোরে একটি কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছিল। প্রিয়াঙ্কা সম্প্রতি সোশিওলজি অনার্স নিয়ে বিএ পাস করেছে। এছাড়াও নানা রকম কোর্সও করেছিল সে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কাজের খোঁজ করছিল। বিভিন্ন জায়গায় বায়োডাটা জমা দিয়েও কাজ জুটছিল না। এদিকে দিদির শ্রাবন্তী সম্প্রতি ব্যাঙ্গালোরে প্রাইভেট সংস্থা কোম্পানিতে চাকরি পেয়ে যায়। আর এর পর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিল প্রিয়াঙ্কা। গতকাল রাত্রে খাওয়া দাওয়ার পরে শুতে চলে যায়। সকালে পরিচারিকা কাজ করতে এসে প্রিয়াঙ্কার শোয়ার ঘরে গিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরিচারিকার চিৎকারে বাড়ির লোক ছুটে আসে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এ.এস.আই. নিত্যানন্দ সাহা ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
প্রিয়াংকার বাবা দিলীপ দাস জানান, গতকাল রাত্রে খাওয়া-দাওয়া পরেও মেয়ের সঙ্গে স্বাভাবিক কথাবার্তা হয়েছিল। কাজ পাচ্ছিলো না বলে মনে মনে অবসাদে ভুগছিল দীর্ঘদিন ধরে। আমরা অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু সকালে এই ভাবে আত্মঘাতী হবে কল্পনা করতে পারছি না। প্রিয়াঙ্কার দিদি শ্রাবন্তী দাস জানান, আমরা দুই বোন মাকে হারানোর পর খুব কাছাকাছি থাকতাম। আমি চাকরি পাওয়ার পর ও আরও ভেঙে পড়েছিল। অনেক বোঝানো হয়েছে ওকে, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ও যে আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে আমরা ভাবতেই পারছি না। এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এ.এস.আই. তদন্তকারী অফিসার নিত্যানন্দ সাহা জানান, মেয়েটির মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদায় পাঠিয়েছি সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।