উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৭ ই মে ২০২২ : মঙ্গলবার : যত দিন যাচ্ছে তত গরম বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গে, সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। যার ফলে এই প্রচন্ড গড়মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে সাধারন মানুষ। যেখানে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি কাছাকাছি এবং উত্তরবঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় তাপমাতা প্রায় ৩০ ডিগ্রি পার করেছে। এই গরম থেকে কিছুটা শান্তি পেতে ছুটে যাচ্ছে পাহাড়ের কোলে। তবে পাহাড়ের পাদদেশে যেতে হবে না। মালবাজার ব্লকের ওদলাবাড়ি থেকে থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে গেলেই মিলবে ঠান্ডা আবহাওয়া। রাস্তা দিতে যেতে যেতে অদৃশ্য হয়ে যাবে রাস্তাঘাট। কারন রাস্তা রাস্তাঘাট নিমেষের মধ্যেই ঠান্ডা কুয়াশায় ঢেকে যাবে। এরকম জায়গার নাম ছোটা লুনসেল বা আপার লুনসেল। গরুবাথান ব্লকের এই ছোটা লুনসেল জায়গায় এখনও সব সময় ঠান্ডা। এই এলাকায় পৌছুলেই গরম জামাকাপড় পরতেই হবে পর্যটকদের। সমতল থেকে সামান্য দূরে এই ছোটা লুনসেল জায়গাটি এখনো সে ভাবে পর্যটকদের কাছে পরিচিত জায়গা না হলেও আশেপাশের জেলাগুলো থেকে পর্যটকেরা কিন্তু আসছে এই সুন্দর পরিবেশ এবং আবহাওয়া উপভোগ করতে।
কি ভাবে পর্যটকেরা এই এলাকায় ঘুরতে যাবে? নিউমাল রেল স্টেশন থেকে ওদলাবাড়ির দুরত্ব ১০ কিলোমিটার। নিউ মালবাজার থেকে বাসে করেই ওদলাবাড়ি আসা যায়। সব সময় বাস বা ছোট গাড়ি রয়েছে। ২০ টাকায় নিউমাল থেকে বাসে করে ওদলাবাড়িতে আসতে সময় লাগবে ১৫ মিনিট। ওদলাবাড়ি থেকে রিজার্ভ করে বহু ছোট গাড়ি করে ছোটা লুনসেলে যাওয়া যায়। ওদলাবাড়ি থেকে ছোটা লুনসেল যেতে সময় লাগবে ৪০ মিনিট। রাস্তাঘাট খুব সুন্দর। যেতে যেতেই চোখে পড়বে চা-বাগান, ঘন জঙ্গল, বড় বড় বিভিন্ন ফুলের গাছ, ঝর্না প্রভৃতি। কোলকাতা থেকে ঘুরতে আশা পর্যটক মৌমিতা দাস, রিঙ্কু দাস এবং উত্তরবঙ্গ থেকে ঘুরতে আসা বুম্বা বোসদের বক্তব্য, চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। যেখানে ওদলাবাড়ি, মালবাজারে গরম লাগছে, সেখানে ২০ কিলোমিটার দূরে এই ছোটা লুনসেল জায়গায় ঘন কুয়াশায় ঢাকা। চারদিক দিয়ে ঠান্ডা বাতাস বইছে। মনে হচ্ছে কাশ্মীর এলাকার কোনো জায়গায় এসেছি। কুয়াশার কারনে দৃশ্যমানতা কমেছে। আবার কখনো কখনো কুয়াশা সরে গিয়ে রাস্তাঘাট পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে, তবে ঠান্ডা থেকেই যাচ্ছে। এই ছোট লুনসেলের আশেপাশে রয়েছে মানজিং, বড়া লুনসেল, ঝান্ডি। কিছুটা দূরে রয়েছে লাভা, লোলেগাও, আলগাড়ার মত ঘুরতে যাবার জায়গা। আশেপাশের রয়েছে বহু ছোট বড় হোমষ্টে। এক কথায় বলতে হয় খুব কম খরচে হাতের কাছে এরকম জায়গা সত্যিই ভাবা যায় না। তাই এই প্রচন্ড গরমের সময় পর্যটকদের কাছে ভাল জায়গা হতে পারে এই ছোটা লুনসেল।