উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৭ শে মে ২০২২ : শুক্রবার : ভারী ডাম্পার চলাচলের ফলে চেল নদী পার্শ্ববর্তী ক্ষুদিরামপল্লীর কাঁচা রাস্তা খানা খন্দে ভরে উঠছে। চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে গ্রামবাসীদের। মূলত এই অভিযোগের প্রতিবাদে বালি, পাথর বজরি বোঝাই সমস্ত ডাম্পার আটকে বিক্ষোভ দেখালো ক্ষুদিরামপল্লীর বাসিন্দারা। আশিক আলি, আনারুল ইসলাম, সিরাজুলদের অভিযোগ, ক্ষুদিরাম পল্লীর কাঁচা রাস্তা দিয়ে ভারী ডাম্পারগুলো চলাচলের ফলে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে উঠেছে গ্রামের মূল রাস্তা। ছাত্র-ছাত্রী সহ সাধারণ মানুষকে রাস্তায় জমে থাকা জল-কাদা মেখে যেতে হচ্ছে এবং ঘরে ফিরতে হচ্ছে।
রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। তারওপর এলাকার রতন গর্গ নামে এক ক্যাসার মালিকের বড় বড় গাড়ি চলাচলে রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। আর সেই গর্তে জল জমে পুকুরের আকার নিয়েছে। গ্রামের মানুষের দাবি ক্যাসার মালিক, তাদের গাড়ি অন্য রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাক। এই ভাবে রাস্তা খারাপ করে গাড়ি চলাচল করতে দেব না আমরা। এরপর বৃহত্তর আন্দলনে নামবো আমরা। পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে রাস্তা নিয়ে যে অভিযোগ এদিন সামনে এসেছে সে বিষয়ে রতন বাবু বলেন, প্রতিবছর যখনই রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজন হয়, আমরা স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে তা করে দিই। রতন গর্গের অভিযোগ, পর্দার আড়ালে আমার ব্যবসার প্রতিদ্বন্দ্বীরা কলকাঠি নেড়ে একদল যুবককে খেপিয়ে তুলে এ সব কান্ডকারখানা চলছে। রতনবাবু আরও বলেন, আমার ক্যাসারের পেছনে, আর একটি নতুন ক্যাসার হচ্ছে। আমার দাবি সেই ক্যাসারের মালিকেরাই ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার ক্যাসার বন্ধ করে দেবার জন্য এই চক্রান্ত করছে। আমার ক্যাসারে প্রায় ১০০০ শ্রমিক কাজ করে। আমার ওপর প্রতিনিয়ত এই ভাবে বাধা আসতে থাকলে আমি ক্যাসার বন্ধ করে দেব। এই ভাবে ব্যাবসা করা যায় না। এব্যাপারে মালবাজার থানায় জানিয়েছি। আর এই রাস্তা দিয়ে শুধু আমার গাড়ি চলে না, অন্যান্যদেরও বহু গাড়ি চলে। তাদের বিরুদ্ধে তো কোন প্রতিবাদ হয় না, দাবি রতন গর্গ এর।